ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রানা প্লাজার মালিকের জামিন না মঞ্জুর করাসহ ১৩ দাবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২৩
রানা প্লাজার মালিকের জামিন না মঞ্জুর করাসহ ১৩ দাবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়েজিত সমাবেশ। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির ভবন মালিক সোহেল রানার জামিন না মঞ্জুর ও এ ঘটনায় হওয়া মামলার আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।

রোববার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়েজিত সমাবেশে তারা এসব দাবি জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো- রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ মামলার সকল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া; আগামী ৮ মে শুনানিতে সোহেল রানার জামিন না মঞ্জুর করা; রানা প্লাজা ধ্বসের ঘটনায় আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও পূর্ণবাসনের সু-ব্যবস্থা করা; রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করা; সব ক্রেতা ও ব্যান্ডকে একোর্ড চুক্তি স্বাক্ষর করা; গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করা; ইপিজেডসহ সব কারখানায় অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন ও যৌথ দরকষাকষি করার স্বাধীনতা দেওয়া; সব ব্র‍্যান্ড ও মালিকদের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত বীমায় অংশগ্রহণ করা; সব শ্রমিককে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত বীমার আওতায় আনা; শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা; শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করা; কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রনয়ন ও আইএলও সনদ ১৯০ অনুস্বাক্ষর করা।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে সরকারী হিসেবে ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান এবং আড়াই হাজার শ্রমিক আহত হন। ওই ঘটনায় আহত শ্রমিকরা বর্তমানে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। যাদের মধ্যে অন্তত এক হাজার শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে আছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শ্রমিকদের দুর্ভোগ, দূর্দশা ও মানবেতর জীবনের চিত্র সকলের নজরের আড়ালেই পরে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভবন মালিক সোহেল রানা ও ৫টি গার্মেন্টস মালিকের বিরুদ্ধে সরকার বিভিন্ন আইনে ৩টি মামলা দায়ের করে, যা গত ১০ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। এদের মধ্যে সোহেল রানা ছাড়া মামলার বাকি সব আসামি জামিনে আছেন। কিছুদিন আগে সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর হলে দেশের মানুষ এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে সোহেল রানা মুক্তি না পেলেও আগামীকাল ( ৮ মে) তার জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশ থেকে সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর না করার জন্য জোর দাবি জানাই।

বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ মামলার সব আসামির সর্ব্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। রানা প্লাজা আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও পূর্ণবাসনের সুব্যবস্থা করতে হবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাদিজা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উর্মি আক্তার, সৈকত চৌধুরী, আইন ও যৌথ দর কষাকষি বিষয়ক সম্পাদক ইয়াহিয়া খান, বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক হাসিনা আক্তার হাসি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৩
এসসি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।