ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে'

রাজশাহী: ভারতের কলকাতা থেকে আগত অতিথি ও রাজশাহীর বিশিষ্টজনদের নিয়ে প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে নগর ভবন অ্যানেক্স হল রুম সভা কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আগত ভারতীয় অতিথিদের উত্তরীয়, ক্রেস্ট, আমের মোমেন্ট ও অন্যান্য উপহার প্রদান করেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এরআগে অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, রবীন্দ্র ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাস কমিউনিকেশন অ্যান্ড ভিডিওগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শ্রী দেবজ্যোতি চন্দ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রফেসর ড. সান্তুন চট্রোপাধ্যায়, বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের আহ্বায়ক সৌম্যব্রত দাস, কলকাতা বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের সদস্য বিদ্যুৎ মজুমদার।  

স্বাগত বক্তব্য দেন এ সময় রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম শরিফ উদ্দিন।

রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভুলে যাবার নয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ধীরে ধীরে বাড়ছে। উভয় দেশের সম্পর্ক বজায় আছে, আগামীতেও থাকবে। ভারতের মুর্শিবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত নৌবন্দর চালুর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। এটি চালু হলে উভয় দেশ থেকে মালামালি আমদানি-রপ্তানি করা সহজ হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। বাংলাদেশ-ভারত আরও এগিয়ে যাবে, উভয় দেশের কল্যাণ হবে।

কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর বলেন, দুই দেশের সুশীল সমাজের মধ্যে সম্পর্ক ও পারস্পারিক ভাবের আদান-প্রদান যত বাড়বে, তখন আমরা বুঝতে পারবো দুই দেশের সম্পর্ক উন্নীত হচ্ছে। আপনাদের-আমাদের সবার শুভ চিন্তার প্রয়োজন। উভয় দেশের মধ্যে সুস্থ্য সম্পর্ক যাতে বজায় থাকে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন দৃশ্যমান। পদ্মা সেতু হয়েছে, কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল তৈরি হচ্ছে, চট্রগ্রামে গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পণ্য পরিবহনের লজিস্টিক হাব তৈরি হবে। বাংলাদেশ সরকার সমস্ত নদীপথ ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে, ভারতীয় পণ্য পরিবহনে। এভাবে যখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, পরীক্ষার সময় আসবে, তখন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুন্দর হবে।

সভায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, কবিকুঞ্জের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুসতাক আহমেদ, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৩
এসএস/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।