ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চেয়ারম্যানকে ইউএনওর হুমকি

‘লাথি মেরে খালে ফেলে দেব, গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাব'

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
‘লাথি মেরে খালে ফেলে দেব, গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাব' মো. ইমরান হোসেন ও চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন। 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে।  

এ ঘটনার বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন।

 

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ইউএনও ইমরান হোসেন তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও লাথি মেরে খালে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়া গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।  

রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে ডিসির কাছে দেওয়া অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ চন্দ্রগঞ্জে মাছ বাজারের বহুতল শেডের কাজ উদ্বোধন করেন। ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ইউএনও ইমরান হোসেন ওই কাজ পরিদর্শনে যান। তখন ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বাজারের গণমিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। ইউএনওর ফোন পেয়েই তিনি মাছ বাজার এলাকায় উপস্থিত হন। বাজার উন্নয়নের কাজ চেয়ারম্যানের দায়িত্বে হওয়ার কথা থাকলেও ইউএনও নিজ ইচ্ছামতো পছন্দনীয় ঠিকাদারকে দায়িত্ব দেন। তখন ঠিকাদারকে দেওয়ার জন্য ইউএনও ১০ লাখ টাকার একটি চেক চেয়ারম্যানকে দেন। ঠিকাদার সময়মত কাজ শুরু করেন নি। এজন্য কাজের অগ্রগতি নেই। এতে প্রকাশ্যে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ও তার মাকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় ইউএনও গালমন্দ করেন।

এসময় চেয়ারম্যানকে ‘লাথি মেরে খালে ফেলে দেব, তোর মতো এক চেয়ারম্যানকে বাড়ি পাঠিয়েছি, তোকেও পাঠাবো, গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাব’ বলে হুমকি দেন ইউএনও। ঘটনার সময় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুর রহমানসহ বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।  

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ইউএনও আমাকে লাথি মেরে খালে ফেলে দেবে ও গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমি মানসিক, শারীরিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। ইউএনওর পছন্দের ঠিকাদার নানা অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ করছে। কিন্তু ইউএনও তা মাথায় নিচ্ছেন না। ঠিকাদারকে দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকার চেক আমি নিতে পারবো না।  

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।  

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম বলেন, লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।