ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ম্রো’দের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
ম্রো’দের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

খাগড়াছড়ি: বান্দরবানের লামা উপজেলায় ম্রো পাড়ায় স্থানীয়দের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া অবশ্যই মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে সুপারিশ করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.কামাল উদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ কথা জানান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। এ সময় পাহাড়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।  

ড. কামাল উদ্দিন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আপাতত যে মানবাধিকার অবস্থা রয়েছে; আমরা যে অভিযোগগুলো পেয়েছি, সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। বান্দরবানের লামায় ম্রো পাড়ায় বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া অবশ্যই মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

চাষের জমি পুড়িয়ে দেওয়া, ৩০০/৩৫০ একর জায়গা পুড়িয়ে দেওয়া এটা অবশ্যই মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এসব বিষয়ে আমরা গত বছর এপ্রিলের ২৬ তারিখ থেকে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, বান্দরবানের মতো ঘটনাগুলো কেন হচ্ছে তা নিয়ে আমরা বিশ্লেষণ করবো। সরকারকে আমরা বলবো যাতে করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এছাড়াও যেকোনো জায়গা থেকে যা যা অভিযোগ আসছে তা নিয়ে কাজ হচ্ছে এবং সংগঠিত বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ থাকবে।

এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, কমিশন সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, কংজরী চৌধুরী, ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ড. তানিয়া হক ও কাওসার আহমেদ, সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার, পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) (জেলা ও দায়রা জজ) আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপ-পরিচালক মো.আজহার হোসেন, উপ-পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) জামাল উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক, খাগড়াছড়ি সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুদর্শন দত্ত, প্রেসক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া প্রমুখ।

এর আগে ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে বে-দখল ভূমি ফেরতের দাবি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধসহ ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট স্বনির্ভর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি করা হয়। মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রকাশ প্রকাশ করে দোষীদের শাস্তিও দাবি করে নিহতের পরিবারের সদস্য ও ভূমি রক্ষা কমিটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২৩
এডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।