ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শীতে কাঁপছে ভোলার উপকূলের মানুষ, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
শীতে কাঁপছে ভোলার উপকূলের মানুষ, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে

ভোলা: পুরো দেশের মতো দ্বীপজেলা ভোলাতেও শীতের প্রকোপ বেড়েছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলের জনজীবন।

হাড় কাপানো শীতে বাইরে বের হতে না পেরে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেক দিনমজুর। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) ভোলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটি এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিকে শীতার্তদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। সবার ভাগ্যে মেলেনি গরম কাপড়। অনেক বেশি ঠাণ্ডা পড়ায় ছিন্নমূল মানুষরা অনেক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

জানা গেছে, উপকূলীয় জেলা ভোলার ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে কনকনে শীতে কাপছেন উপকূলের ছিন্নমূল মানুষ। শীতের দাপটে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। হাড় কাপানো শীতে অনেকটাই মানবেতর দিন কাটছে তাদের।

ধনিয়া ইউনিয়নের বাঁধের বাসিন্দা নুর জাহান, মমতাজ ও রহিমা বেগম বলেন, প্রচুর শীত পড়ছে। অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। নদীর পাড়ে আরও বেশি শীত লাগে। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কষ্টে আছি।

আরেক বাসিন্দা আব্দুর রব, জসিম ও লোকমান বলেন, শীতের কারণে কাজে যেতে পারছি না। ঘরের মধ্যেই থাকতে হয়। গত কয়েকদিন ধরে প্রচুর শীত পড়ছে। এভাবে চললে আমাদের আরও কষ্ট পোহাতে কবে।

উপকূলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হলেও অনেক দরিদ্রদের হাতে তা পৌঁছায়নি।

জেলা প্রশাসন সুত্র জানিয়েছে, এ মৌসুমে জেলায় সরকারের পক্ষ থেকে ৩৬ হাজার ২৬০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো সব উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে সরকারের বরাদ্দ দেওয়া শীতবস্ত্র দরিদ্র মানুষের তুলনায় খুবই অপ্রতুল বলে মনে করছেন উপকূলবাসী। তারা মনে বলছেন, নদীর তীরবর্তী ও দুর্গম জনপদে প্রায় ২ লাখের বেশি মানুষ বাস করেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই দরিদ্র ও ছিন্নমূল। এ কারণে সবার ভাগ্যে গরম কাপড় মেলে না।

এ ব্যাপারে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস এম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমরা যতটুকু বরাদ্দ পেয়েছি সেটুকুই বিরতণ করা হয়েছে। আরও বরাদ্দ পেলে দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে তা বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।