ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৭ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই শিশু বিশেষজ্ঞ বনে গেছেন সেলিম!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
৭ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়েই শিশু বিশেষজ্ঞ বনে গেছেন সেলিম! সেলিম, বাঁয়ে মাস্ক পরা

চুয়াডাঙ্গা: ডাক্তারির কোনো সনদ নেই সেলিমের, নেই কোনো অনুমতিও। শুধুমাত্র সাতদিনের এসএমসি ব্লু স্টার প্রশিক্ষণ নিয়েই নিজেকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি।

শুধু শিশু নয়, নিয়মিত বিভিন্ন বয়সী রোগীদের দেখে দিতেন ব্যবস্থাপত্রও।  

এভাবেই দিনের পর দিন ভুয়া চিকিৎসা দিয়ে জনগণকে প্রতারিত করে আসছিলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাজারের জেহালা মোড়ের মেসার্স সোহাগ ফার্মার মালিক সেলিম।

অবশেষে থলের বিড়াল বেড়িয়ে এসেছে, সাজা হয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে।  

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।  

সেই সঙ্গে মুন্সিগঞ্জ বাজারের জেহালা মোড়ের সার, কীটনাশক, শিশুখাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চালানো হয়।  
চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এ বাজার তদারকিতে নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, মদনবাবুর মোড়ে অবস্থিত মেসার্স সোহাগ ফার্মা নামে একটি ফার্মেসিতে তদারকিকালে সেলিম হোসেন নামে এক ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পাওয়া যায়। চিকিৎসক পরিচয় দিলেও তার পক্ষে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। সাতদিনের এসএমসি ব্লু স্টার প্রশিক্ষণ নিয়েই তিনি নিজেকে শিশুরোগ  বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিতেন, রোগী দেখে ব্যবস্থাপত্র দিতেন। তাই সেলিম হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা বন্ধ করতে তাকে সতর্ক করা হয়।  

তিনি আরও জানান, সেলিম বাচ্চাদের দিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ওষুধ।  

অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে সেবা ক্লিনিক নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  

অভিযানে সহযোগিতা করেন মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।