ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

যৌন হয়রানির শিকার হলে যা করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
যৌন হয়রানির শিকার হলে যা করবেন প্রতীকী ছবি।

যৌন হয়রানি একটি মানসিক ব্যাধি। এখন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।

প্রতিদিনের প্রকাশিত সংবাদে চোখ রাখলে আমরা দেখতে পাই কোনো না কোনো বখাটেকে যৌন হয়রানের অপরাধে সাজা দেওয়া হচ্ছে। আবার এর প্রতিবাদ না করতে পেরে আত্মহত্যা কিংবা প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যাও করা হচ্ছে।  

এখানে মনে রাখতে হবে পরিবারই শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র। সেখান থেকেই সচেতন করতে হবে। গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ। যেন ওই শিশুটি যৌন হয়রানি না করে কিংবা যৌন হয়রানির সময় তীব্র প্রতিবাদ করতে পারে। এজন্য মানসিক জোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

যৌন হয়রানি রোধে নারীদের আত্মরক্ষার্থে কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো:

দিনে-রাতের যেকোনো সময় যখন একা কোথাও যাবেন তখন সতর্ক থাকুন। চলার সময় চারপাশের মানুষ সম্পর্কে অন্যমনস্ক থাকবেন না। সব জায়গায় সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।  

ব্যবহৃত মোবাইলফোনের স্পিড ডায়াল লিস্টে সব সময় স্থানীয় পুলিশ, পরিবারের লোকজন কিংবা বন্ধুদের নাম্বর রাখুন। যাতে যেকোনো বিপদে তাদের মেসেজটি দিতে পারেন।

 আমরা নারীরা বেশিরভাগ সময়ই অফিসে, স্কুল-কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা দৈনন্দিন চলাফেরার সময় বখাটেদের কটু কথা শুনেও চুপ করে চলে যাই। ফলে এসব বখাটেরা আরও সাহসী হয়ে ওঠে। তাদের কুরুচিপূর্ণ মনোভাব উত্তরোত্তর বাড়তে থাকে। তাই প্রতিবাদ করুন। মনে রাখবেন সমাজের আর দশটা মানুষ আপনার পক্ষে আছে। কখনো কখনো কৌশলে প্রতিবাদ করেও আপনি হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

আপনি আত্মবিশ্বাসী হোন। চলাফেরার সময় আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টি এবং সুদৃঢ় পদক্ষেপই আপনার থেকে দূরে রাখবে বখাটেদের। পথে চলতে এরকম কাউকে সন্দেহ হলে আপনি সরাসরি তার চোখের দিকে তাকান। আপনার দৃষ্টি এবং আত্মবিশ্বাসই পারে বখাটেকে প্রতিহত করতে।

যত্রতত্র যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণত গণপরিবহন (পাবলিক ট্রান্সপের্ট) ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন একা রিকশা, সিএনজি কিংবা ট্যাক্সিতে চলাফেরা করলে ওই চালাকদের কাছ থেকেও আপনি যৌন হয়রানির শিকার হতে পারেন। এমনকি স্কুলে কিংবা কলেজে যাওয়ার সময়ও একা না গিয়ে কয়েকজন মিলে চলাফেরা করুন। এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে, নিরিবিলি এলাকা এবং একা চললে এ ধরনের হয়রানি বেশি হয়।

আপনার পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং চারপাশের অবস্থা অনুযায়ী পোশাক পছন্দ করুন। আর সেই ধরনের পোশাক পরেই বাইরে যান। এমন পোশাক পরবেন না যাতে অন্যের দৃষ্টি অযথাই আপনাকে অনুসরণ করে। মার্জিত এবং রুচিশীল পোশাকই পারে অপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে।

প্রকৃত পক্ষে সমাজের গুটিকয়েক মানুষ বখাটে। এটা তাদের মানসিক সমস্যাও বটে। তাই তাদের ভয়ে গুটিয়ে না থেকে আপনার আত্মবিশ্বাস এবং প্রতিবাদই পারে চলার পথকে সুগম করতে। আধুনিক নারী হিসেবে আপনার শক্ত অবস্থান এবং ব্যক্তিত্বই পারে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দিতে।

চিৎকার দেওয়া ও প্রতিবাদ করা। ঘটনাস্থলের লোকজনকে সম্পৃক্ত করা। দ্রুত নিকটস্থ থানায় যাওয়া। সম্ভব হলে প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যাওয়া। সম্ভব হলে ছবি তুলে বা ভিডিও করে তা পুলিশকে দেওয়া।

নির্জন স্থানে হেনস্থার শিকার হলে নিজের নিরাপত্তাকে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া। নিজের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করুন কেউ আক্রমণ করলে তাকে শক্তভাবে প্রতিহত করবেন।

শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত-সামর্থ্য হওয়ার চেষ্টা করবেন। পরিবারকে তাদের কন্যা সন্তানদের শারীরিকভাবে শক্তিশালী হতে সাহায্য করা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।