ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

অমনোযোগিতা শিশুর একটি মানসিক রোগ

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৩
অমনোযোগিতা শিশুর একটি মানসিক রোগ সংগৃহীত ছবি।

সাজিদ ইদানিং হঠাৎ করেই বেশ অমনোযোগী হয়ে গেছে। সব কাজেই।

স্কুলের শিক্ষকরাও তার বাবা-মাকে এটা বলেছে। কিন্তু তারা বলছে সাজিদ তো এমন ছিল না। বাচ্চা বয়সে যেমন হয় আরকি! সবকিছুতেই জেদ। একটু মাথা গরম। অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। নানাজনের সঙ্গে পরামর্শ শেষে এক মনোচিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললেন তারা। তিনি জানালেন সাজিদ মানসিক রোগে ভুগছেন। অমনোযোগিতা যে মানসিক রোগ হতে পারে এটা অনেকেরই অজানা। শিশুদের অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত তাকে শারীরিক প্রহার করে মনোযোগী হওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়। এতে রোগ নির্মূল হয় না। সাময়িকভাবে বন্ধ হয় মাত্র।

লক্ষণ ও উপসর্গ

প্রায়ই কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারে না।
কাজের মাঝে সহজে নিবিষ্ট হতে পারে না।
খামখেয়ালির বশে ভুল করা কিংবা কারোর কোনো নির্দেশ অনুসরণ করে কিছু করতে সমস্যা হয় বা ঠিক মতো করতে পারে না।
বেখেয়ালি বা ঝোঁকের বশে কাজ করার প্রবণতা।
খুব বেশি কথা বলা এবং অন্যান্যদের কথার মাঝখানে কথা বলে ওঠা।
অতিমাত্রায় কাজ করার চেষ্টা, অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠা এবং কি করছিল সেসব ভুলে যাওয়া, অস্থিরতা, এবং শান্ত পরিস্থিতিতেও উদভ্রান্তের মতো ছটফট করা।

কী করা উচিত

আপনি যদি লক্ষ্য করেন, আপনার শিশু অমনোযোগিতায় ভুগছে, সেক্ষেত্রে একজন দক্ষ শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, নিউরোলোজিস্ট, সাইকোলোজিস্ট এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার লক্ষণগুলোর সামগ্রিক বিচার-বিশ্লেষণ করুন।

যদি চিকিৎসক বলে যে আপনার বাচ্চা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত এবং বিশেষত তিনি যদি বাচ্চার জন্যে মিথাইলফেনাইডেট কিংবা অন্য কোনো ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেয় কিংবা ওই ডাক্তার যদি শিশু মনোরোগের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য জ্ঞানের অধিকারী না হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থার কথা শুধিয়ে দেখতে পারেন, কিংবা অন্য কোনো ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েও দেখতে পারেন।

নিজের বাচ্চাকে জানার চেষ্টা করুন

তার আচরণ এবং ধরন, শখ, কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা এবং অদক্ষতা আছে, সেগুলো জানুন। কিছু বাচ্চা আছে যারা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত হলে পরিকল্পিত কাজকর্মগুলো তেমন কোনো নির্দেশনা ছাড়াই সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারে, আবার অন্য বাচ্চারা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে তেমন সুচারুভাবে কিছুই করতে পারে না।

আপনার নিজেকে এবং আপনার বাচ্চাকে এই রোগ সম্পর্কে অবহিত করুন।

আপনার বাচ্চা নিজের যে কাজকর্মগুলো না করে পারে না সেগুলোর জন্যে তাকে শাস্তি দেবেন না।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

আপনার শিশুটি যদি অতিরিক্ত অমনোযোগী হয় এবং এই সমস্যার জন্য আপনার শিশুর দৈনন্দিন জীবন কিংবা কর্মক্ষেত্র কিংবা স্কুলে সমস্যা দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।