ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২
ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ওমর ফারুক নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মো. আমিন (৩৭) নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন।

 

রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আমিন সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের বশির উল্যার ছেলে।

২০১৭ সালের ৩১ মার্চ রাতে ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে ধারালো অস্ত্র ‍দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি জেলার সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ছিলেন। ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন ফারুক।  

মামলা ও আদালত সূত্র জানায়, ইউপি সদস্য ওমর ফারুক শ্যামগঞ্জের পাটওয়ারী হাট বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাত সোয়া ১০টার দিকে পথে বাজারের পূর্ব পাশে বুড়ি বাড়ির পুকুর পাড়ে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আমিন হোসেন তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে ওমর ফারুককে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওমর ফারুকের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৮) বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়।  

মামলায় বাদী ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য মুকবুল আহমেদকে দ্বিতীয় আসামি এবং মো. আমিনকে তৃতীয় আসামি করেন। ওই মামলায় পুলিশ মো. আমিনকে গ্রেফতার করে।  

২০১৮ সালের ১১ মে আদালতে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন। তিনি তদন্তে প্রতিবেদনে মামলায় তৃতীয় আসামি মো. আমিনকে একক অভিযুক্ত করেন এবং বাকি আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন বলে উল্লেখ করেন।  

প্রতিবেদনে তিনি জানান, একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক স্থানীয় মো. আমিনের ছোট ভাইকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করেছিলেন। টাকা পরিশোধ করতে তাদের জমি বিক্রি করতে হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মো. আমিন ইউপি সদস্য ওমর ফারুককে হত্যা করেন। হত্যা মামলায় অন্য আসামিদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে জড়ানো হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন মামলার তদন্ত কর্কমর্তা।  

জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।