ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যা মামলা

জিতুর বয়স নিয়ে জটিলতার অবসান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
জিতুর বয়স নিয়ে জটিলতার অবসান আশরাফুল ইসলাম জিতু -ফাইল ছবি

ঢাকা: আশুলিয়ার হাজী ইউনুছ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা মামলার আসামি আশরাফুল ইসলাম জিতুর বয়স নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) দেওয়া রিমান্ড আবেদনে জিতুর ১৯ বছর বয়সের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

সে অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক আসামি হিসেবে তার রিমান্ড শুনানি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেই হয়েছে।

মামলার আইও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বৃহস্পতিবার বিকেলে জিতুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জুনিয়র দাখিল পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ আসামির অধ্যয়রনত স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৭/০১/২০০৩। সে মতে এ মামলার ঘটনার তারিখে আসামির বয়স ছিল ১৯ বছর ৫ মাস ৮ দিন।

পুলিশের এই প্রতিবেদন দাখিলের পর বয়স নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে বলে জানান ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এজাহারের সময় বাদী (নিহত উৎপল কুমার সরকারের ভাই) আসামির বয়স ১৯ বছর উল্লেখ করেন। কিন্তু পুলিশ ফরোয়ার্ডিংয়ে বলা হয়েছে তার বয়স এখন ১৯ বছর। তাই এই আসামিকে প্রথমে রিমান্ড শুনানির জন্য ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এ নেওয়া হয়। তবে ওই আদালতের বিচারক পুলিশ প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক আসামি হিসেবে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড শুনানির আদেশ দেন। এরপর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। তাই বয়স নিয়ে আর কোনো জটিলতা নেই।

গত বুধবার (২৯ জুন) রাতে শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামি জিতুকে গাজীপুর থেকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটারিয়ন (র‌্যাব)। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে।

গত ২৫ জুন দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় পেছন থেকে শিক্ষক উৎপলকে কাঠের স্টাম্প দিয়ে হামলা করে জিতু দাদা নামের এক ছাত্র। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় পরের দিন ২৬ জুন নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে একটি মামলা করেন। এই মামলায় ২৯ জুন জিতুর বাবাকে ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
কেআই/ এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।