ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মামুনুলের ধর্ষণ মামলা: আরও ৩ জনের সাক্ষ্য 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
মামুনুলের ধর্ষণ মামলা: আরও ৩ জনের সাক্ষ্য  মামুনুল হক

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তৃতীয় দফায় আরও তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন নারায়ণগঞ্জ আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।



মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে আদালপাড়ায় আনা হয়। দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দেন রিসোর্টের এক্সিকিউটিভ মাহবুবুর রহমান, আনসার সদস্য ইসমাইল ও সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। এদের তিনজনই মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, আজ তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আদালতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক, তাকে সকালেই কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে নিয়ে আসা হয় এবং সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, সাক্ষ্য নেওয়ার সময় আদালতে শান্ত ও স্বাভাবিক ছিলেন মামুনুল হক। তাকে আদালতে হাজির করার পর হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীরা আদালতে উপস্থিত হন। তবে, কঠোর নিরাপত্তার কারণে কেউ মামুনুল হককে আদালতে উঠানোর সময় ও আদালত থেকে বের করার সময় তার আশেপাশে যেতে পারেননি।

এর আগে, সকাল থেকেই আদালতপাড়ায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ সীমিত করে দেয় পুলিশ। প্রয়োজন ও কাজ ব্যতিত কাউকে আদালতপাড়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি সকাল থেকে। এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ, রিসিপশন অফিসার নাজমুল ইসলাম অনিক ও আনসার গার্ড রতন বড়াল সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। এর আগে, ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একই আদালতে ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে, ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
এমআরপি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।