ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

গাংনীতে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
গাংনীতে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুর: গাংনী পৌর শহরের ভিটাপাড়ার ইটভাটা ব্যবসায়ী রেজাউল হক ওরফে খোকন হত্যা মামলায় ৬ জনকে বেকসুর খালাস ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।  

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, গাংনী থানা পাড়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার হোসনাবাদ সেন্টার পাড়ার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাহামুদ হাসান ওরফে রিপন ওরফে রবিন হুড, গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া মাইলমারি গ্রামের নয়ন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জব্বার, হিজলবাড়িয়া গ্রামের বারিকের ছেলে বিল্লাল হোসেন, গাংনী পল্লীবিদ্যুৎ সাবস্টেশন পাড়ার আজগর কসাইয়ের ছেলে আব্দুল কাদের, পূর্ব মালসাদহ গ্রামের অহিল উদ্দিনের ছেলে হোসেন আলী ওরফে পিচ্চি হোসেন।

মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা ৬ আসামিরা হলেন, গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আখতারুজ্জামান ওরফে বাবু, জালশুকা গ্রামের তাহার উদ্দিনের ছেলে জিয়ারুল, আড়পাড়া গ্রামের লাল চাঁদের ছেলে মজনু, মালসাদহ গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আবুল কালাম, হাড়িয়াদহ গ্রামের নুর ফকিরের ছেলে খাজা এবং সানঘাট গ্রামের ওয়াদুদ আলীর ছেলে আবুল কালাম ওরফে শান্তর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালোর ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে গাংনী উপজেলার গাংনী ভিটাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউল হক খোকন তার নতুন ইটভাটার কাজ শুরু করার জন্য মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। পরে তৎকালীন কমিশনার আলী আজগরের ইটভাটা থেকে ৩০০ গজ দূরে একটি মেহগনি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন লোকজন।

খবর পেয়ে গাংনী থানার পুলিশের একটি দল খোকনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন সকালে তার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় রেজাউল হক খোকনের স্ত্রী হাসিনা বানু বাদী হয়ে ১২ জনের নামে গাংনী থানায় ৩০২/৩৪ ধারা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর-৪। জি আর নম্বর ৫৯৭ /১১। ১২। আসামির মধ্যে ৪ জন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাংনীর র‌্যাব-৬ এর এসআই বাবুল মামলা প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় মোট ১৬ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি কাজি শহীদুল হক এবং আসামিপক্ষে মিয়াজান আলী, ইব্রাহিম শাহীন, শফিকুল আলম এবং রমজান আলী কৌঁসুলি ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।