ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ডিআইজি পার্থ গোপালের মামলার রায় পড়া শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
ডিআইজি পার্থ গোপালের মামলার রায় পড়া শুরু

ঢাকা: সিলেটের সাবেক কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। রোববার (০৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার পর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় পড়া শুরু করেন।

গত ২৭ ডিসেম্বর এই মামলায় দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল এবং আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী যুক্তিতর্ক শেষ করেন।

বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের পর গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৪ নভেম্বর মামলাটিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া বক্তব্যে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডিআইজি পার্থ।  

গত বছর ৫ জুন পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর পার্থ গোপাল বণিকের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

সেই আদেশ অনুযায়ী গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে পরবর্তী বিচারের জন্য মামলাটি এই আদালতে পাঠানো হয়।  

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।  

এ ঘটনায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের ২৪ আগস্ট একই কর্মকর্তা ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। একই বছর ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

সিলেটে দায়িত্ব পালনের আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করেন পার্থ গোপাল বণিক। ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি প্রিজন হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম কারাগারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে এবং চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তারপরই অভিযানে যায় কমিশন।

পরে ৩০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেফতারের দিন থেকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২২
কেআই/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।