ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলছে

ঢাকা: চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী। দুদকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. নওশের আলী মোল্লা।

ইকরাম উদ্দিন খান চৌধুরী জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। এরপর এক গ্রাহক চট্টগ্রামের মোমিন রোডের বাসিন্দা হাসান আলী এসব উল্লেখ করে  ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক কাছে ‘চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ’র গুরুতর দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি প্রসঙ্গে অভিযোগ’ শীর্ষক একটি অভিযোগ দেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।  

রিট আবেদনে চট্টগ্রাম ওয়াসার বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে দৈনিক যুগান্তরের ‘পানি চুরি দুর্নীতির যেন শেষ নেই’ দৈনিক কালেরকণ্ঠের ‘অশীতিপর এমডির মেয়াদ আবার বাড়ানোর সুপারিশ’ দৈনিক সমকালের ‘দিনে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে ১২ কোটি লিটার পানি’ দৈনিক প্রথম আলোর ‘নিরাপদ পানির জন্য উগান্ডায় প্রশিক্ষণ’ দৈনিক পূর্বকোণের ‘চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অপসারণ দাবি’ দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার ‘ওয়াসায় আউট সোর্সিং বাণিজ্য’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করা হয়।  

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

এর ধারাবাহিকতায় রিট মামলাটি বুধবার কার্য তালিকায় আসে।

পরে ব্যারিস্টার মো. নওশের আলী মোল্লা বলেন, আদালতের আদেশ মতো হলফনামা আকারে এ বিষয়ে দুদকের কার্যক্রম দাখিল করেছি। কিছু বিষয়ে অসত্যতা পেয়েছি। আর কিছু বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। যেমন টাকা পাচার করার অভিযোগসহ তার ছেলে-মেয়েদের নামে কোনো ব্যাংক হিসাব থাকলে, সেসব ব্যাংক হিসাবের লেনদেনের তথ্যাদি জানতে চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে তল্লাশিপত্রও পাঠানো হয়েছে।

এরপর আদালত রুল শুনানির জন্য প্রস্তুত করতে বলেছেন। রুল প্রস্তুত হলে শুনানিতে উঠবে। এরমধ্যে দুদক অনুসন্ধানের সর্বশেষ অগ্রগতি আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান আইনজীবী নওশের আলী মোল্লা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।