ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সাত খুনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
সাত খুনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে সাত খুনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে (ফাইল ফটো)

ঢাকা:  নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলার রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথিপত্র (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। 

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এসব নথি নিয়ে আসেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস সেগুলো গ্রহণ করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম পরে বলেন, ‘এখন এটি ফৌজদারি শাখায় পাঠানো হবে। তারা এটি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে পেপারবুক তৈরির জন্য পাঠাবেন। পেপারবুক তৈরি হওয়ার পর এ মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করা হবে’।

এর আগে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জের সরকারি কৌঁসুলি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন,  দু’টি মামলার রায় ১৬৩ পাতায় লেখা রয়েছে।

তিনি বলেন, আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘ৠাব একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী, ৠাবের  সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়নি, ৠাব এখনো আগের মতোই রয়েছে। জঙ্গি দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদক নির্মূলে ৠাবের অনেক সুনাম রয়েছে। বাংলাদেশে ৠাবের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে। জাতির ক্লান্তিলগ্নে ৠাব কাজ করেছে। কিন্তু সাত খুনের ঘটনায় ৠাবের ক’জন উচ্চাভিলাসী কর্মকর্তার কারণে এই সাত খুনের ঘটনা ঘটেছে, যা দুঃখজনক’।

 

‘এ ক্ষেত্রে বিচারক ৠাবকে তিরস্কারের ভাষায় বলেছেন, ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের উচ্চাভিলাসী সদস্য নিয়োগ করা না হয় এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়’।

তিনি আরো বলেন, রায়ের পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, ‘নূর হোসেন ও নজরুল দু’জনই সন্ত্রাসী। দু’জনেরই বিশাল বাহিনী ছিল। তাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা বিরোধ ছিল। সে বিরোধের কারণেই নজরুল ছিলেন নূর হোসেনের টার্গেট। আর তাদের এ বিরোধের কারণেই আরো ছয়জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়। কিন্তু নজরুল ছিলেন নূর হোসেনের একক টার্গেট’।

গত ১৬ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায়ে প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১২ জন পলাতক। গ্রেফতারকৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৮ জনকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে ও ৫ জন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ ও পার্ট-২ এ রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭

ইএস/এএসআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।