কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার বাদী নোবেল বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী।
মঙ্গলবার (২০ মে) গায়ক নোবেলের পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানিতে এ দাবি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জসীম।
আদালতকে তিনি বলেন, নোবেল একজন স্বনামধন্য শিল্পী। তিনি দেশের সম্পদ। ধর্ষণের যে ঘটনা দেখানো হয়েছে, তা সাত মাস আগের। প্রকৃতপক্ষে এই মামলার বাদী তার বিবাহিত স্ত্রী। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। হয়তো পারিবারিক মনোমালিন্যের কারণে তিনি মামলা করেছেন। আসামি বাদীর সঙ্গে সংসার করতে চান। আপসের শর্তে বা বাদীর জিম্মায় জামিন দিলে আমাদের আপত্তি নাই।
এ সময় বিচারক বিবাহ হয়েছে এই মর্মে কাবিননামা বা অন্য কোনো ডকুমেন্টস আছে কি না, তা জানতে চান। জবাবে আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, যেহেতু বাসায় কেউ ছিল না, তাই কাবিননামা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার উপপরিদর্শক ইলামনি জামিনের বিরোধিতা করেন।
ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, আমরা পত্রপত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি, গায়ক নোবেল সাংসারিক ও ব্যক্তি জীবনে ভালো অবস্থানে নেই। বাদী ইডেন কলেজের একজন ছাত্রী। তাকে নিজ বাসায় আটকে রেখেছেন এবং শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। বাদী ‘৯৯৯’-এ ফোন দিলে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে। তাছাড়া বিবাহের সমর্থনে আসামিপক্ষ কোনো কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি। এ অবস্থায় তার জামিনের বিরোধিতা করছি।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিপন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ নোবেলের পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, গতকাল রাত ২টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় গাড়িতে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে তার বাসায় সাত মাস আটকে নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেয়েটিকে উদ্ধারের পর তার জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। পরে তার দায়ের করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী নোবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বর্তমানে নির্যাতিত ওই নারী শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন বলে জানান ওসি মাহমুদুর রহমান।
কেআই/এমজেএফ