ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

১০ বছর আগে চাঁদা না পেয়ে গুলি

যশোরের সাবেক ওসিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
যশোরের সাবেক ওসিসহ ১৬ কর্মকর্তার নামে মামলা

যশোর: যশোরে যুবককে তুলে নিয়ে মুক্তিপণের সম্পূর্ণ টাকা না পাওয়ায় পায়ে গুলিবিদ্ধ করার অভিযোগে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি শহিদুল ইসলামসহ ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

ঘটনার ১০ বছর পর মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভিকটিম যুবকের বাবা যশোর শহরের আরএন রোডের বাসিন্দা বাবু শিকদার বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন।



অভিযোগটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী তানজিন নূর পূর্বাশা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম, চাঁচড়া ফাড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই জামাল উদ্দিন, তৎকালীন টিএসআই রফিক, এসআই মাসুদুর রহমান, মিজানুর রহমান চৌধুরী, এটিএসআই আবু বক্কর সিদ্দিকি, পুলিশ কনস্টেবল খাইরুল ইসলাম, আবু জাফর, জাহিদ সজীবুল, আব্দুল আলীম, জিন্নাত আলী, তারেক ও সোহাগ।

এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীর ছেলে সালমান সিকদার ভিকি তার ব্যবসায় সাহায্য করতেন। ২০১৪ সালের ১৫ জুন বিকেলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। এমন সময় এসআই জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ভিকিতে আটক করে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যান। এসময় বাদীকে চাঁচড়া ফাঁড়িতে আসতে বলেন। বাদী দ্রুত ফাঁড়িতে যান। এসময় তার সামনেই ভিকিকে ব্যাপক মারধর করে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখান আসামিরা। এসময় বাদীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অন্যথায় ভিকিকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে বলে জানান আসামিরা। এসময় বাদী হাত-পায়ে ধরে ১০ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। একপর্যায় তিনি ১০ লাখ টাকা আসামিদের হাতে দেন। এরপর ফের বাকি ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। অন্যথায় পুনরায় ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন। টাকা না দেওয়ায় তার ছেলেকে গাড়িতে উঠিয়ে চলে যান আসামিরা। এরপর রাত ১০টার পর চাঁচড়া কবরস্থানের পাশ থেকে ভিকির গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে। এসময় দেখতে পান আসামিরা বাদীর পায়ে গুলি করেছে। পরে ভিকিকে প্রথমে যশোরে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একপর্যায় ভিকির বাম পা কেটে বাদ দিতে হয়। এরপর থেকেই ভিকি পঙ্গুত্ববরণ করে। এরপরও ভিকির নামে দুইটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয় বলে বাদী উল্লেখ করেন।  

এ বিষয়ে বাদী কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে বাদীকেও ক্রসফায়ার ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। সরকার পতনের পর পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় ঘটনার ১০ বছর পর তিনি আদালতে এ মামলা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪
ইউজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।