ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ফেনীতে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ৫ জনের কারাদণ্ড 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪
ফেনীতে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ৫ জনের কারাদণ্ড  প্রতীকী ছবি

ফেনী: ফেনীতে ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় ৫ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আতাউল হক এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জেলার সোনাগাজী উপজেলা চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহাভিকারী এলাকার নুর আলমের ছেলে মিজানুর রহমান প্রকাশ শেখ ফরিদ (৩৩), আবু তাহেরের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (৩০), মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল আবেদীন হেলাল (৫০) ও লিয়াকত আলীর ছেলে রফিক (৩৪)।

এর মধ্যে ফরিদকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জসিমকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

শুক্কুরকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৬ সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

হেলালকে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রফিককে দণ্ডবিধির ৩৯৯ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দণ্ডবিধি ৪০২ ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও  ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মো.নুরুল ইসলাম মজুমদার সোহাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার বাদী ও তদন্তকর্মকর্তাসহ ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে এজাহারভুক্ত ১১ জনসহ মোট ১৪ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ঘটনার ঘটনার দিন একটি স্টিলের বাটযক্ত চাইনিজ চাপাতি ও একটি স্যামসাং মোবাইল সেটসহ হাতেনাতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ফরিদসহ ৩ জন পলাতক রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন,গ্রেপ্তারের পর ওই বছরের ৮ জুলাই জেলার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুন্নেছার আদালতে নিজেসহ সাজাপ্রাপ্ত বাকি ৪ জনও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ফরিদ। পরবর্তীতে ১৬ মাস হাজতবাস শেষে জামিনে বের হয়ে পালিয়ে যায় সে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ৭ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহবিখারী এলাকার সাহাব উদ্দিনের চা দোকান সংলগ্ন এলাকা থেকে স্থানীয় মিজানুর রহমান ওরফে শেখ ফরিদকে (৩৩) আটক করা হয়।  

এ ঘটনায় পরদিন ৮ জুলাই সকালে ১১ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানার তৎকালীন এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এর কয়েকমাস পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. শাহ আলম মিয়া আরও ৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে এ মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত ২০১৭ সালের নভেম্বরে মামলাটির অভিযোগ গঠন করেন।

এ মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নাসির উদ্দীন বাহার, সিরাজুল ইসলাম মিন্টু, কামরুল ইসলাম রাসেল ও হুমায়ুন কামাল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি 
এসএইচডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।