ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নাটোরে ধর্ষণের পর হত্যা: স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
নাটোরে ধর্ষণের পর হত্যা: স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন

নাটোর: নাটোরে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তা এবং পরে হত্যা করার দায়ে বেলাল হোসেন (৩৭) ও তার স্ত্রী জেসমিন খাতুনকে (২৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।

এসময় জেসমিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও বেলাল পলাতক।

দণ্ডপ্রাপ্ত বেলাল হোসেন সদর উপজেলার উলুপুর এলাকার জব্বার আলীর ছেলে এবং বেলাল হোসেনের স্ত্রী জেসমিন একই উপজেলার বালিয়া ডাঙ্গা এলাকার আলা উদ্দিনের মেয়ে।

নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি নাটোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় নূর মোহাম্মদের আম বাগানে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। ওই মরদেহ উদ্ধার শেষে জব্দকৃত আলামতে জেসমিনের ছবি ও পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এতে সন্দেহভাজন হিসেবে জেসমিন খাতুনকে আটক করে পুলিশ।

পরে জেসমিনের স্বামী বেলালকেও সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় পুলিশ। এ ঘটনায় জেসমিন ও তার স্বামী বেলাল হোসেনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন নাটোর সদর থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান। আর ঘটনার পর থেকে বেলাল পলাতক। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা বেলাল ও জেসমিনের নামে আদালতে চার্জশিট দেন।  

দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।  

রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলে জানান বিশেষ পিপি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।