এক ছিল ইঁদুর। তার নাম অয়োট।
বরাবরই খুব ভালো রাঁধতো বাদুড়। একদিন ইঁদুর বাদুড়কে বললো, আচ্ছা এমিয়ং তুমি এত ভালো স্যুপ তৈরি করো কীভাবে?
তখন বাদুড় বললো, আমি স্যুপ তৈরির সময় নিজেকে পানিতে সেদ্ধ করে নিই। আমার মাংস খুব মিষ্টি তো তাই স্যুপ এত সুস্বাদু হয়।
ইঁদুর বললো, তাই বুঝি?
বাদুড় তখন বললো, হুম, একটু অপেক্ষা করো। তোমায় দেখাচ্ছি কীভাবে আমি স্যুপ তৈরি করি।
একথা বলে বাদুড় একটি হাঁড়িতে হালকা গরম পানি নিয়ে এসে ইঁদুরকে বললো, এই দেখো ফুটন্ত পানি।
এরপর সে পানিতে লাফ দিলো। কিছুক্ষণ পরই পানি থেকে উঠে এসে স্যুপ পরিবেশন করলো বাদুড়। স্যুপ যথারীতি খুব মজাদার হলো।
কিন্তু ইঁদুর তো আর জানে না, এই স্যুপ বাদুড় আগেই বানিয়ে রেখেছিল। আর বাদুড় যে পানিতে লাফ দিয়েছিল তা মোটেও ফুটন্ত ছিল না।
ইঁদুর বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে বললো, আজ আমিও বাদুড়ের মতো মজাদার স্যুপ বানাবো। তুমি পানি ফোটাও।
ইঁদুরের স্ত্রী পানি ফোটালো। কিন্তু সে খেয়াল করার আগেই ইঁদুর লাফ দিলো ফুটন্ত জলে। কিছুক্ষণ বাদে ইঁদুরের স্ত্রী হাঁড়িতে তাকিয়ে দেখে ইঁদুর মরে হাঁড়ির পানিতে ভেসে রয়েছে। রাগে কষ্টে সে গেলো রাজার কাছে বিচার চাইতে।
ইঁদুরের স্ত্রী রাজার কাছে বাদুড়ের নামে নালিশ করলো অার বাদুড়কে বন্দি করার অনুরোধ জানালো।
রাজার নির্দেশে তখন সবাই বাদুড়কে ধরতে বেরিয়ে পড়লো। তাই দেখে বাদুড় ভয়ে ঝোঁপের ভিতর নিজেকে আড়াল করে ফেললো। এরপর রোজ সবাই দিনেরবেলা বাদুড়কে খুঁজতো। তাই সে নিজের বাসা বদলে ফেললো। ধরা পড়ার ভয়ে বাঁদুড় দিনেরবেলা বের হতো না।
তবে রাত নেমে এলে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়তো তখন সে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে আসতো। তখন থেকে সে শুধুমাত্র রাতে বের হয়। তাই দিনের বেলা বাদুড়কে আমরা দেখতে পাই না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৫
এসএস
** সূর্য ও চাঁদ আকাশে থাকে কেন
** যা হয়, ভালোর জন্যই হয়
** রাত এলো যেমন করে
** বিড়াল কেন ইঁদুর মারে