বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার বাসনা থাকে প্রায় সব পর্বতারোহীরই। এভারেস্ট জয়ের সম্মান সবার আগে লাভ করেছিলেন যে দু’জন পর্বতারোহী, তারা হলেন স্যার এডমন্ড হিলারি ও শেরপা তেনজিং নোরগে।
শেরপা তেনজিং নোরগে তার এই কীর্তির জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯১৪ সালের মে মাসে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, তিনি নেপালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন তিনি তিব্বতি ছিলেন।
২০ বছর বয়সে তেনজিংয়ের সুযোগ আসে এভারেস্ট অভিযানে যাওয়ার। মালবহনকারী হিসেবে তিনবার ব্রিটিশদের সঙ্গে তিব্বতের পাশ থেকে এভারেস্ট অভিযানে যান তিনি। ১৯৪৭ সালেও একবার এভারেস্টে ওঠার প্রচেষ্টায় অংশ নেন নোরগে। কিন্তু তা সফল হয়নি। ১৯৫৩ সালে সপ্তমবারের মতো এভারেস্ট জয়ের অভিযানে অংশ নেন তিনি। বিশাল অভিযাত্রী দলের এই অভিযানটিই ছিলো মানুষের প্রথম সফল এভারেস্ট অভিযান।
সেই অভিযানে চার শতাধিক অভিযাত্রী অংশ নেন, যার মধ্যে ছিলেন ২০ জন শেরপা এবং ৩৬২ জন কুলি। ভূমি থেকে ২৫ হাজার ৯ শ ফিট উপরে চূড়ান্ত ক্যাম্প স্থাপনের পর এই অভিযাত্রী দল থেকে ইভান ও বোর্ডিলন নামক দুই অভিযাত্রীকে এভারেস্ট সামিটে পাঠানো হয়। কিন্তু ইভানের অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ায় তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন।
এরপর পাঠানো হয় হিলারি ও নোরগেকে। নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তারা এভারেস্ট জয়ে সফল হন। ১৯৫৩ সালের ২৯ মে সকাল সাড়ে এগারোটায় সফলভাবে দু’জনে এভারেস্টের শৃঙ্গে পা রাখেন।
এভারেস্ট জয়ের পরেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্বতারোহণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নোরগে। এ বিষয়ক প্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলেন তিনি।
এভারেস্টজয়ী প্রথম দুই অভিযাত্রীর একজন হিসেবে নানা সম্মাননা অর্জন করেছেন তেনজিং নোরগে। ১৯৮৬ সালের ৯ মে ৭১ বছর বয়সে দার্জিলিংয়ে মারা যান এই অভিযাত্রী।
আজ তেনজিং নোরগের মৃত্যুবার্ষিকী। তার নাম ইতিহাসে লেখা রয়েছে স্বর্ণাক্ষরে, থাকবে চিরকাল। পৃথিবী কখনো তাকে ভুলবে না। তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৫
এএ