ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ইসলাম

পাগলা মসজিদের দান-সিন্দুকে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা 

নজরুল ইসলাম খায়রুল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
পাগলা মসজিদের দান-সিন্দুকে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা 

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স চার মাস ২৬ দিন পর আবারও খোলা হয়েছে। এরপর গণনা করে দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পাওয়া যায়।

এছাড়াও স্বর্ণ ও রূপাসহ বেশকিছু বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।
  
শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে গণনা শেষে দানের টাকার এ হিসাব পাওয়া যায়।  

এর আগে, সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো প্রথমে ছোটবড় ১২টি বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনার কাজ।

সাধারণত তিন মাস পরপর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এবার করোনাভাইরাসের কারণে ৪ মাস ২৬ দিন পর মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে।

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা মাজিস্ট্রেট (এডিএম) ফরিদা ইয়াসমিন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ, মো. ইব্রাহীম, মাহামুদুল হাসান, মো. উবায়দুর রহমান সাহেল ও পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূঞাসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকা গণনা কাজ তদারকি করেন।  

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ফরিদা ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানান, দানবাক্সগুলো খোলার পর টাকাগুলো গুনে নগদ দুই কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা পাওয়া যায়। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে। আর যে স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে তা আগের স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে যোগ করে দানের বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়াও দানে পাওয়া গবাদীপশু ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহেই নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয় বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ গত চলতি বছরের (২০২১ খ্রি.) ২৩ জানুয়ারি মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে গণনা করে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় ২৫০ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদরাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।