ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

ঈদগাহের পরিবর্তে ঈদের নামাজ হবে মসজিদে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
ঈদগাহের পরিবর্তে ঈদের নামাজ হবে মসজিদে

ঢাকা: ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

সোমবার (২৬ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয় ঈদের নামাজ নিয়ে নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের স্মারকের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অতি জরুরি। ইতোমধ্যে মসজিদে নামাজ আদায়ে কতিপয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।  

করানো ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারা দেশে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জারি করা নির্দেশাবলীসহ বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয়াদি অনুসরণ করে শর্তসাপেক্ষে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো।

১. ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিজনিত কারণে মুসল্লিদের জীবনঝুঁকি বিবেচনা করে এবছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত করা যাবে।

২. ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন।

৩. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৪. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

৫. প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৬. ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

৮. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

৯. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।

১০. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

১১. করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিন এর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।

সম্মানিত খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন জানিয়ে বলা হয়, উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উপরোক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।