ঢাকা, সোমবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০ রবিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

দুর্ব্যবহার করলেও আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
দুর্ব্যবহার করলেও আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে দুর্ব্যবহার করলেও আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে

আত্মীয় বলতে আমরা বুঝি আপন লোকজনকে। আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারীর জন্য আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে যেমন রয়েছে পুরস্কার, তেমনই এ সম্পর্ক ছিন্নকারীর জন্য রয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি ও শাস্তির ঘোষণা।

কোরআনে কারিমে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের নিন্দা করে বলা হয়েছে তারা মহান রবের অভিসম্পাত প্রাপ্ত হবে। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর নেক আমল আল্লাহতায়ালা কবুল করেন না।

বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে। হাদিসে আরও বলা হয়েছে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আর আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর শাস্তি শুধু আখেরাতেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় জগতেই শাস্তি পেতে হবে।  

হাদিসে এমনও বলা হয়েছে, কেউ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করলে আল্লাহতায়ালাও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। আত্মীয়দের সম্পর্কে এমনসব বাণী ঘোষণার পরও অনেক সময় আত্মীয়-স্বজনদের দ্বারা মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ অবস্থায় করণীয় কী? 

উল্লেখিত অবস্থায়ও ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছে, আত্মীয়-স্বজন অথবা কাছের লোক এমনকি পরিবার-পরিজনের কেউ যদি কোনো কারণে দুর্ব্যবহার করলে, তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যাবে না। তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে।  

আল্লাহর নবী হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশনা হচ্ছে, ‘যে তোমার সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করলো, তুমি তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করো, আর যে তোমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলো, তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো। ’ 

তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিৎ নবী করিম (সা.)-এর নির্দেশনা মেনে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা। এমন ব্যবহার করতে মন সায় দেবে না, মনে নানা প্রশ্ন দেখা দেবে। তার পরও এমন করতে হবে। তাহলে সেটা হবে সত্যিকারের যথাযথ ব্যবহার, উত্তম ব্যবহার। মানুষের এমন ব্যবহারে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন, নবী করিম (সা.) খুশি হন।   

দেখুন, তারাও দুর্ব্যবহার করলো, তাদের দেখাদেখি আপনিও তা-ই করলেন, তাহলে তো দু’জন সমান সমান হয়ে গেলেন। আর দু’জন সমান হলে তো আল্লাহ ঘোষিত পুরস্কার আপনি পেলেন না। আর তারাই বা আপনার কাছ থেকে অতিরিক্ত কী সুন্দর ব্যবহার পেলো? 

সুতরাং আপনি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, আল্লাহর হুকুম মেনে; মনের কষ্ট সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করার চেষ্টা করবেন। যতো বেশি সম্পর্ক রক্ষা করার চেষ্টা করবেন, ততো বেশি আল্লাহতায়ালার কাছে মর্যাদা লাভ করবেন। কারণ আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা সবচে’ বেশি ফজিলতের কাজ, মর্যাদাপূর্ণ কাজ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।