ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

ইসলাম

বিশ্বজুড়ে জোয়ার এসেছে ইসলামিক ফ্যাশনের

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৬
বিশ্বজুড়ে জোয়ার এসেছে ইসলামিক ফ্যাশনের

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসলামি পোশাক নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ফ্যাশন ডিজাইনাররা নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক বাজারে আনছেন। আরও মজার  বিষয় হলো, নতুন ডিজাইনের ক্ষেত্রে তারা ইসলামকে থিম হিসেবে ধরে ফ্যাশন জগতে একের পর এক নানা ধরনের পোশাক উপস্থাপন করে চলছেন।

এক কথায় বলা চলে, জোয়ার এসেছে ইসলামিক ফ্যাশনের।

থ্রিপিস, বোরকা, হিজাব, স্কার্ফ ও জুতাসহ মুসলিম নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করছে বিশ্বখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালে মোদানিসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান তুরস্কে মুসলমানদের জন্য বিশেষ করে মুসলিম নারীদের জন্য অনলাইনে কাপড় বিক্রি শুরু করে। আজ তা ফুলেফেঁপে বিশাল আকার ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি ৩০ হাজারেরও বেশি পণ্য উৎপাদন করে থাকে। সকল বয়সীদের পোশাক, খেলাধুলার পোশাক, জুতা ও অন্যান্য সামগ্রীসহ প্রতিষ্ঠানটি তিনশো ব্র্যান্ড উৎপাদন করে এবং তা ৭৫টি দেশে রফতানি করে থাকে।

মোদানিসার সিইও কেরিম তুরে বলেন, অতীতে ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল তরুণী অপেক্ষাকৃত একটু বয়সী নারীদের জন্য পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারে পছন্দের ক্ষেত্র খুব কমই ছিলো। তারা তাদের মা-দাদীদের মতোই পোশাক পরতো। ৯৯ ভাগ মুসলমান পরিবারে এ রীতিই চলে আসছিল। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। বয়স্ক মুসলিম নারীরা পোশাকের বিষয়ে রক্ষণশীল থাকলেও নতুন প্রজন্ম ধর্ম মেনেই পোশাকের বিষয় সচেতন হয়ে উঠছে। এ কারণেই আমরা বিশ্বব্যাপী ওয়েব ব্যাবসা শুরু করি।

এদিকে গত মে মাসে ইস্তাম্বুলে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়, প্রথম রক্ষণশীল ফ্যাশন সপ্তাহের। এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে ইন্দোনেশিয়ার ইসলামিক পোশাক প্রস্তুতকারক ফ্রাঙ্ক সোরিয়া।

ওই প্রদর্শনীর বিষয়ে সোরিয়া বলেন, আমি এটাই দেখাতে চাই, আমি আধুনিক। আমি নিজেকে আবৃত করে রাখতে চাই এবং আমি ফ্যাশন পছন্দ করি। এটা শুধুই আমার একটা স্টাইল, একে মেনে নিন।

তুরস্কের ফ্যাশন ডিজাইনার ওসমান ওজদেমির বলেন, ইসলামিক ফ্যাশনকে গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান পোশাক তৈরি করছে।

ইতালির বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন হাউজ ডলসি এন্ড গাবানা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম ক্রেতাদের জন্য হিজাবসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক প্রস্তুত করছে।

মুসলিম ফ্যাশন ডিজাইনাররা চেষ্টা করছেন, কিভাবে একজন মুসলিম নারীকে একই সঙ্গে ফ্যাশনেবল ও ধর্মীয় শালীনতাপূর্ণ পোশাক সরবারহ করা যায়।

যদিও এমন ফ্যাশন প্রবণতা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ইসলামিস্টরা মনে করছেন, অতি বাণিজ্যিকীকরণের প্রভাবে পোশাকের এমন অাধুনিককরণের ফলে ইসলামের মূল চেতনা বিনষ্ট হচ্ছে। তাদের দাবী, কিছু পোশাকের ডিজাইন শরিয়ত পরিপন্থী।

অবশ্য পোশাক ডিজাইনাররা ইসলামিস্টদের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেননি। তারা বলছেন, আমরা শুধু চাচ্ছি চিরাচরিত ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পোশাকগুলোকে বর্ণিল, চমকপ্রদ ও সৃষ্টিশীল ডিজাইন করদে। এটাকে আপনি ইসলামি পোশাকের ফ্যাশনও বলেতে পারেন, আবার ভাবতে পারেন পোশাকের জমজমাট ব্যবসার কৌশল।

-এএফপি অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।