আফ্রিকার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আলজেরিয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। দেশটির প্রায় সবাই মুসলমান ও আরবি ভাষায় কথা বলে।
বর্তমানে আফ্রিকার অন্যতম ধনী দেশটি অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি খেলাধুলাও বেশ উন্নতি সাধন করেছে। বিশেষ করে ফুটবলে। ইতিমধ্যে চারবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে দেশটি। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে আলজেরিয়ার খেলোয়াড়রা শক্ত প্রতিপক্ষ জার্মানির বিপক্ষে রোজা রেখে ম্যাচ খেলে আলোচিত হয়।
সেই আলেজেরিয়ায় চলতি বছরের (২০১৬) সেপ্টেম্বর মাসে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদের উদ্বোধন হবে। নির্মিতব্য মসজিদটির ৬৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মসজিদের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
২০১২ সালের মে মাসে নির্মাণ কাজ শুরু করা মসজিদটি পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদের খ্যাতি লাভ করবে। মসজিদটি সৌর বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হবে।
মসজিদটির নির্মাণ কাজ গত বছর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক মাস বিলম্বের পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হবে। মসজিদটি আলজেরিয়ার গৃহায়ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত হচ্ছে এবং মসজিদের নির্মাণ কাজ এ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্ববধানেই পরিচালিত।
উল্লেখ্য আলজেরিয়ার জামে মসজিদটি মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর পর তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটি নির্মাণে দেড় শত কোটি ডলার ব্যয় হবে। মসজিদের আয়তন ২ হেক্টর এবং এখানে একটি দারুল কোরআন ও কালচারাল সেন্টারও থাকবে।
মসজিদটির মিনারের উচ্চতা ২৬৫ মিটার, যা হবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মিনার।
জার্মানের প্রকৌশলী ‘ইউরগান এঙ্গেল’ আলজেরিয়ার সর্ববৃহৎ মসজিদটির ডিজাইন করেছেন।
বর্তমানে আলজেরিয়ায় উচ্চ বেকারত্বের হার, তেলের মূল্য হ্রাস এবং সরকারি সম্পদ হ্রাসের কারণে কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে। তার পরও সেখানে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদের নির্মাণ কার শুরু করা হয়েছে।
এ মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদটির নাম হবে আলজেরিয়ার গ্রান্ড মসজিদ। মসজিদটি দেশটির সমূদ্র উপকূলে অবস্থিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
এমএ/