তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা জানিয়েছে, অস্ত্র প্যাকেজের মধ্যে ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী জাহাজ, ১০-টি এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ও একটি রাডার থাকছে।
মার্কিন সংবাদ আউটলেট পলিটিকো এ সপ্তাহের শুরুতেই সম্ভাব্য মার্কিন অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলো। এতে আরও বলা হয়েছে, অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হলেও কংগ্রেস এ সিদ্ধান্তকে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। আবার সেটি নাও হতে পারে, কেননা কংগ্রেসের দুই প্রধান দলের আইন প্রণেতারা দৃঢ়ভাবে তাইওয়ানকে সমর্থন করে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে বলেছেন, এটি তাইওয়ানের নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। এর মাধ্যমে তাইওয়ান নিজের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণ ও একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকবে।
পেন্টাগনের ঘোষণায় চুপ করে বসে নেই চীন। তাইওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করা দেশটি অস্ত্র বিক্রির এ সিদ্ধান্ত থেকে বিলম্ব না করে ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছে। শুক্রবার ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, এটি তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কাছে ভুল সংকেত পাঠায়। এ ছাড়া চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে ফেলে। বেইজিং এর জবাব দেবে। পরিস্থিতির উন্নয়নের আলোকে চীন দৃঢ়তার সাথে বৈধ ও প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার উপায় সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্র সচেষ্ট। দ্বীপটিতে আক্রমণ করা হলে ওয়াশিংটন সেটি রক্ষায় যথেষ্ট শক্তি প্রয়োগ করবে।
অপরদিকে চীন বলছে, বাইডেন প্রশাসন জানে না বিষয়টি খারাপ পর্যায়ে যাচ্ছে। তারা আগুন নিয়ে খেলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২
এমজে