ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শেষ দিনের শুনানি শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
আইসিজেতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শেষ দিনের শুনানি শুরু

নেদারল্যান্ডসের হেগে ‘ইন্টারন্যাশন্যাল কোর্ট অব জাস্টিস’ (আইসিজে)-এ তৃতীয় দিনের মতো রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এ শুনানি শুরু হয়।

আজ দুপক্ষের মধ্যে যুক্তি-তর্ক অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে শুনানির প্রথম দিন বাদী পক্ষের বক্তব্য শোনা হয়। শুনানির দ্বিতীয় দিন মিয়ানমারের পক্ষে জবাব দেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি।

দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি বলেছিলেন, গাম্বিয়া রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির অসম্পূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছে। যদি দেশের অভ্যন্তরে গণহত্যার উদ্দেশ্যে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে তবে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত সেনা সদস্য, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘এর বাইরে আমি এ বিষয়েও নিশ্চিত করছি যে, আমাদের সবার নজর সেনা সদস্যদের দিকে। একইসঙ্গে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

দুই বছরে আগে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো অভিযানকে ‘গণহত্যা’ উল্লেখ করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলতি বছরের নভেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশন্যাল কোর্ট অব জাস্টিস’ (আইসিজে)-এ মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে তিন দিনব্যাপী সেই মামলার গণশুনানি শুরু হয়।  

প্রথম দিন মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ করার নির্দেশনা দিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে গাম্বিয়া। নেদারল্যান্ডসের হেগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় গাম্বিয়ার আইনজীবীরা বারবার বলেন, ‘স্টপ জেনোসাইড’।  ওইসময় আদালতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর ও বিবাদীপক্ষের এজেন্ট অং সান সু চিও উপস্থিত ছিলেন।

২০১৭ সালে গোটা বিশ্ব রাখাইনে সমকালের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা প্রত্যক্ষ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘জেনোসাইড’ বা গণহত্যার মামলা করে গাম্বিয়া।

এ মামলার পরও ন্যায়বিচার পেতে আরও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে রোহিঙ্গাদের। চূড়ান্ত রায় দিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বছরের পর বছর সময় নেন। কিন্তু আদালত চাইলে যেকোনো ধরনের অন্তর্বর্তী আদেশ দিতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।