ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

‘লায়ন’র সন্ধানে নেমে মারা গেলেন সেই ডুবুরি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৮
‘লায়ন’র সন্ধানে নেমে মারা গেলেন সেই ডুবুরি প্লেন দুর্ঘটনায় উদ্ধার করা বিভিন্ন সরঞ্জাম

জাভা সাগরে বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের প্লেনের সন্ধানে নেমে এক ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার ওই ডুবুরির নাম সাচরুল আন্তো (৪৮)। সম্প্রতি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প পরবর্তী সুনামি এবং চার বছর আগে এয়ার এশিয়ার প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনায় সফলভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিলেন এই ‘অভিজ্ঞ’ ডুবুরি।

দেশটির নেভির অনুসন্ধান ও উদ্ধার বিভাগের কমান্ডার ইসওয়ার্তো জানিয়েছেন, নিহত ওই ডুবুরি প্লেনটির অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া দলের একজন সদস্য ছিলেন। শ্বাস বন্ধ হয়ে ওই ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার পালুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামিতে বিধ্বস্ত অঞ্চলে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিলেন আন্তো। চার বছর আগে এয়ার এশিয়ার প্লেন দুর্ঘটনার পর উদ্ধার কাজে তাকে ডাকে কর্তৃপক্ষ।

১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বাজেট এয়ারলাইন্স হিসেবে খ্যাতি অর্জন করা লায়ন এয়ার ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ, অস্ট্রেলিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

গত সোমবার (২৯ অক্টোবর) লায়ন এয়ারের জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এর আগে দেশটির রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বোয়িং-৭৩৭ ম্যাক্স-৮ প্লেনটি নিখোঁজ হয়। প্লেনটিতে দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট এবং ছয়জন কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ জন আরোহী ছিলেন।  

প্লেনটি দুর্ঘটনার পর তার সন্ধানে ব্যাপক পরিসরে উদ্ধার অভিযানে নামে কর্তৃপক্ষ। সংযোজন করা হয় আধুনিক সব প্রযুক্তি। এর মধ্যে জাভা সাগরের তলদেশে মিলতে থাকে প্লেনের ধ্বংসাবশেষ, যাত্রীদের শরীরের খণ্ডিতাংশ। আর গত বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) জেটি-৬১০ ফ্লাইটের একটি ব্লাক বক্স উদ্ধার করা হয়। যা থেকে মিলতে পারে লায়ন এয়ারের ‘হতভাগ্য’ প্লেনটির বিধ্বস্তের কারণ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৮
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।