ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

দেশে দেশে নববর্ষ বরণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৬
দেশে দেশে নববর্ষ বরণ

ঢাকা: পুরোনকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরে পা রেখেছে বিশ্ব। ভৌগলিক অবস্থান আর সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে বর্ষবরণ করলেও সবার প্রত্যাশা, আশা-আকাঙ্খা ছিল এক।

সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা স্পর্শ করা মাত্র পৃথিবীর প্রতিটা দেশ মেতে ওঠে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ায়।

বিশ্ববাসী যেভাবে নতুন বছরকে বরণ করে নিল, তার উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ নিয়েই বাংলানিউজের এবারের আয়োজন।

পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম ঘড়ির কাঁটা নিউজিল্যান্ডেই রাত ১২টার ঘর স্পর্শ করে। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টায় এখানে সবাই মেতে ওঠেন বর্ষবরণে। অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ারে দানবীয় ডিজিটাল ঘড়িতে সবাই একসঙ্গে কাউন্টডাউন করার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো শুরু। আর ১২টা বাজতেই সবাই একযোগে হর্ন বাজিয়ে বর্ষবরণ। টাওয়ার তখন সবুজ থেকে লাল আর লাল থেকে সাদায় উদ্ভাসিত হচ্ছে।

নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে একই সময় সামোয়াতেও নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। আর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় কিরিবাতিতে বরণ করা হয় ২০১৬ সালকে।

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার ঘর স্পর্শ করে সিডনিতে। সঙ্গে সঙ্গে বর্ষবরণে মেতে ওঠেন সিডনিবাসী। হারবার ব্রিজে ১২ মিনিটের হরেক রঙের আতশবাজি আর জলধারা মানুষকে মাতিয়ে রাখে। আকাশে যেন তখন প্রজাপতি, অক্টোপাস আর ফুলের হাট।

সিডনি ছাড়াও মেলবোর্নে ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। এখানে ১১ টন আতশবাজি ফোটানো হয়।

বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় চীনারা মেতে ওঠেন বর্ষবরণে।

বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় জার্মানরা নতুন বছরে পা রাখেন। তবে এখানে তেমন কোনো আয়োজন ছিল না এবার। সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না থাকার ও জনসমাগম না ঘটানোর পরামর্শ দিয়েছিল দেশটির পুলিশ।

একই অবস্থা ফ্রান্স ও বেলজিয়ামেও। বর্ষবরণে যে প্যারিস সবচেয়ে রঙিন থাকে, এবার সেই প্যারিসকে কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৩ নভেম্বরের হামলার আঘাত এখনও দগদগে। সে আতঙ্ক এখনও তাড়া করে প্যারিসবাসীকে। আর এ কারণেই এখানে খুবই সাদামাটাভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বেলজিয়ামেও সাদামাটাভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়।

দুবাইয়ে জমকালো আয়োজন করা হলেও তা ফিকে হয়ে গেছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়। ২০১৬ সালকে স্বাগত জানাতে বুর্জ খলিফার খুব কাছে ৬৩ তলার একটি হোটেলে সমাগত হয়েছিলেন অনেকে। এখানে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন আহত হয়েছেন।

সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও রাশিয়ায়ও খুব সাদামাটাভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিশেষ করে মস্কোর রেড স্কয়ারে অন্যান্যবার যেখানে হাজার মানুষ জমায়েত হন, এবার তা ছিল একদমই জনমানবশূন্য।

ব্রিটেনেও বেশ কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়েছে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তিন হাজার কর্মকর্তাকে মাঠে নামিয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে। ইতালিতেও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

স্পেনে খুব ছোট পরিসরে বর্ষবরণ করা হয়। মাত্র ২৫ হাজার মানুষকে মাদ্রিদের পুয়ের্তা দেল সোল স্কয়ারে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় এখানেও কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ি ১২টার কাঁটা স্পর্শ করে। নিউইয়র্কে টাইমস স্কয়ারে বল পতনের মধ্যে দিয়ে এখানে বর্ষবরণের সূচনা ঘটে।

এছাড়া মিশর, সিরিয়া, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এবং পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তেও নিজ নিজ ঢঙে আর সংস্কৃতিতে সবাই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৫
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।