ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১

জরুরি অবতরণ করেছে প্লেনটি, সব যাত্রীই জীবিত!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪
জরুরি অবতরণ করেছে প্লেনটি, সব যাত্রীই জীবিত!

ঢাকা: হঠাৎ করেই মাঝ আকাশ থেকে হাওয়া হয়ে যাওয়া এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট নং কিউজেড ৮৫০১ এর ভাগ্য নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। নিখোঁজ প্লেনটির সর্বশেষ অবস্থান এবং এর পরিণতি কী হয়েছে তা নিয়ে পাওয়া যাচ্ছে বিভ্রান্তকর তথ্য।



সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়ার একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে রাশিয়ার প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক (সাবেক রিয়া নভোস্তি)  জানিয়েছে, ফ্লাইট ৮৫০১ ইন্দোনেশিয়ার বেলিটুং দ্বীপপুঞ্জের কোনো এক প্রত্যন্ত দ্বীপে জরুরি অবতরণ করেছে। এছাড়া এর সব আরোহীই জীবিত আছে।

ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় এখন সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরটি যাচাই করে দেখছে বলে জানিয়েছে স্পুটনিক। স্পুটনিকের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জে এ বারাতা রোববার বিকেলে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দেটিক ডট কমকে বলেন, ‘আমরা জাকার্তায় এখনও এ সংক্রান্ত খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারিনি। তবে সুরাবায়ায় অবস্থানরত আমাদের সহকর্মীরা এ সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন। বর্তমানে আমরা এটি যাচাই করে দেখছি। ’

এর আগে ডেটিক.কম জানায়, নিঁখোজ বিমানটির এক যাত্রীর স্বজন অপরিচিত এক ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ পান। তাতে লেখা বিমানটি বেলিটুং জরুরি অবতরণ করেছে এবং এর আরোহীরা জীবিত আছে।

এর আগে রোববার দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব বেলিতাং দ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছিলো ইন্দোনেশিয়ার বাঙ্কা পোস নামের একটি পত্রিকা।

অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানায়, ওই স্থানে ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া গেছে বলে তাদের সূত্র জানিয়েছে। তবে তারা এখনও নিশ্চিত নন যে ওই ধ্বংসাবশেষই হারিয়ে যাওয়া প্লেন ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ এর।

রোববার ভোরে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর ইন্দোনেশিয়ার বিমান পরিবহন বিভাগের পরিচালক জোকো মুরজাতমোজো বলেন, হারিয়ে যাওয়ার আগে বিমানটির সর্বশেষ অবস্থান ছিলো বেলিতুং দ্বীপের তানজুং পানডান ও কালিমানতান দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে। স্থানটি তানুজং পানডান থেকে একশ’ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

তবে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ হারানোর আগে এয়ার এশিয়ার উড়োজাহাজটি কোনো বিপদ সংকেত দেয়নি। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের নির্দেশনা মতো ঘন মেঘের বাধা এড়াতে অনেক উপর দিয়ে উড়তে উড়তেই যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে প্লেনটি।
 
খবরে বলা হয়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেঘের বাধা এড়াতে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের নির্দেশনা মতো অনেক উপর দিয়ে উড়ছিল ১৬২ আরোহীবাহী উড়োজাহাজটি। এর মধ্যেই যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে এটি। তবে এ সময় কোনো বিপদ সংকেত রেকর্ড হয়নি ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড়াল দেয় কিউজেড ৮৫০১ ফ্লাইটটি। সকাল ৭টা ২৪ মিনিটের পর থেকে প্লেনটির সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে সংশ্লিষ্ট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম। ৮টা ৩০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিলো ফ্লাইটটির। Air_Asia_bg

উড়োজাহাজটিতে ৭ ক্রু ও ১৫৫ যাত্রী মিলিয়ে মোট ১৬২ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ২ পাইলট ৫ ক্রেবিন ক্রু ছাড়া ১৪৯ জন যাত্রীই ইন্দোনেশিয়ান। বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজন কোরিয়ান এবং একজন করে মালয়েশিয়ান এবং সিঙ্গাপুরিয়ান। তবে অপর একজনের জাতীয়তা প্রথমে ব্রিটিশ বলা হলেও পরে জানানো হয় তিনি ফরাসি।

বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের তদারকিতে দেশটির ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকুউ এজেন্সি (বাসারনাস) নিখোঁজ বিমানটির খোঁজে অভিযান পরিচালনা করছে।

নিখোঁজ হওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটির অনুসন্ধানে সর্বাত্মক তৎপরতায় নেমেছে ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর।

নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছেন ফ্লাইটটিতে থাকা আরোহীদের স্বজনরা। তবে, ধৈর্য্য ধরে সহযোগিতা করার জন্য স্বজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চাঙ্গি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪

** ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে!
** বিপদ সংকেত দেয়নি এয়ার এশিয়ার প্লেনটি
** ১৬২ আরোহী নিয়ে এয়ার এশিয়ার প্লেন নিখোঁজ
** ফের প্লেন নিখোঁজে উদ্বিগ্ন বিশ্বনেতারা

** রুট বদলে বাধ্য করা হয় প্লেনটির পাইলটকে
** প্লেন অনুসন্ধানে নেমেছে ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর
** নিখোঁজ প্লেনের যাত্রীদের জাতীয়তা প্রকাশ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।