ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

‘ভিয়েতনামের পথে আফগান যুদ্ধ’

(টমাস নাগরস্কি, ম্যানেজিং এডিটর, এবিসি নিউজ) | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১০

আজ থেকে সাড়ে আট বছর আগে শরতের এক রোববারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে শুরু হয়েছিল আফগান যুদ্ধ। নাইন ইলেভেনের টুইন টাওয়ার হামলার তখনো এক মাস পার হয়নি।

আর তাই কাবুল, কান্দাহার জালালাবাদে শক্ত তালেবান ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে বিমান হামলার পক্ষে সমর্থন পেতে তেমন একটা বেগ পেতে হয়নি সেসময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে।
 
সেদিন বুশ যখন বলছিলেন, ‘আমরা গোটা বিশ্বের সমর্থন নিয়েই এ হামলা চালাচ্ছি’ তখন তাতে অতিকথন ছিল খুব সামান্যই।  

নভেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ মার্কিন সেনাবাহিনী তালিবানকে রাজধানী কাবুল থেকে বিতাড়িত করে। মাস শেষে কান্দাহারও দখলে চলে আসে তাদের। ডিসেম্বরের শুরুতে তালিবান পালিয়ে যায় এবং মার্কিন নৌসেনারা কান্দাহার বিমানবন্দরের কাছে একটি ঘাঁটি স্থাপন করে।

‘লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’- এমন ঘোষণা তখন পর্যন্ত দেওয়া না হলেও চাইলে এমনটিও দেওয়া যেত।

অক্টোবর ২০০২ এ ওই অভিযানের বর্ষপূর্তির সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামস্ফেল্ড সিএনএন কে বলেন, ‘তালিবান পালিয়েছে। আল কায়েদা পালিয়েছে। ’

অক্টোবরের সেই রোববারের প্রায় এক যুগ পর, প্রায়শই উদ্ধৃত এই ‘অন্য যুদ্ধ’র শেষ পর্যায়ে এসে তা দেখা বা বোধগম্য করা কষ্টকর। নতুন একজন কমান্ডার-ইন-চিফ এর আদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন আফগানিস্থানে স্রোতের মতো সৈন্য পাঠাচ্ছে। কান্দাহারে এখন জটিল পরিস্থিতি। তালিবানও এর জবাবে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

এতে প্রতিনিয়তই যৌথ বাহিনীর নিহত সৈনিকদের নাম যুক্ত হচ্ছে কোন এক ‘নির্মম’ তালিকায়। সম্প্রতি এ সংখ্যা ১১০০ ছাড়িয়েছে।

আজকে সেই ‘অন্য যুদ্ধটি’ একটি টাটকা ও ব্যতিক্রমী ব্যবধান তৈরি করে দিয়েছে: এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম যুদ্ধগুলোর একটি।  

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১০
দেবব্রত/কেএল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।