যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছে ইরান। সোমবার (১৬ জুন) দুটি ইরানি এবং তিনটি আঞ্চলিক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সূত্রগুলো দাবি করেছে, তেহরান কাতার, সৌদি আরব এবং ওমানকে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ইসরায়েলের ওপর তার প্রভাব ব্যবহার করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর আহ্বান জানিয়েছে। বিনিময়ে ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনায় নমনীয়তা দেখাবে।
এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া মেলেনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে চলমান তীব্র সংঘর্ষ থামানোর উপায় খুঁজতে উপসাগরীয় নেতারা এবং তাদের শীর্ষ কূটনীতিকরা সপ্তাহান্তে একে অপরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। দীর্ঘস্থায়ী দুই শত্রুকে থামাতে তেহরান, ওয়াশিংটন এবং তার বাইরেও কথা বলেছেন কূটনীতিকরা।
ইরানের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি হলে ইরান পারমাণবিক আলোচনায় নমনীয় হতে ইচ্ছুক।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন থেকে আসা একটি ফোনকলই নেতানিয়াহুকে থামাতে পারে। আর সেটাই উন্মুক্ত করতে পারে কূটনীতিতে ফেরার পথ। ’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি সত্যই যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী হন, তাহলে পরের পদক্ষেপগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাহলো ইসরায়েলকে অবশ্যই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। তারা সামরিক আগ্রাসন পুরোপুরি না থামালে ইরান জবাব দিতেই থাকবে। ’
একটি আঞ্চলিক সূত্র এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের যোগাযোগ সম্পর্কে ব্রিফ করা একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি প্রথমে কার্যকর করতে হবে। আর সেটি হলেই কেবল তেহরান পারমাণবিক আলোচনায় ফিরে আসবে। ’
বিষয়টির মধ্যস্থতা করতে কাতার এবং ওমানের সঙ্গে ইরান যোগাযোগও করেছে বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ইরান ওমান ও কাতারের কাছে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, আক্রমণের মুখে থাকাকালীন তেহরান কোনো আলোচনায় বসবে না এবং ইসরায়েলি হামলার জবাব দেওয়ার পরই কেবল আলোচনা শুরু করা যায়।
ওই কর্মকর্তার এসব দাবির বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ওমানের তথ্য মন্ত্রণালয়, সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক মিডিয়া অফিস, হোয়াইট হাউস এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেয়নি।
তবে অভিযানে সমাপ্তি টানার জন্য কোনো কূটনৈতিক পথ তৈরি করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে, ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবি সোমবার আর্মি রেডিওকে বলেন, ‘এটা একটু তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। তিন দিনেই এটা শেষ করার চেষ্টা করা ঠিক হবে না। ’
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার দেশ ‘জয়ের পথে’ রয়েছে।
এসএএইচ