ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি হামলার পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের ওপর নতুন করে আক্রমণ শুরু করেছে দেশটি।
এছাড়া ইরানের হামলায় উত্তর ইসরায়েলে বন্দর শহর হাইফায় তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। সেখানের বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। এসব হামলায় ৯২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
টাইমস অব ইসরায়েল এবং ইনেট নিউজ আউটলেট জানিয়েছে, পেতাহ টিকভা শহরে একটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, যার ফলে আজ ইরানের হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত পেতাহ টিকভাতে চারজন এবং বেনি ব্রাকে একজন নিহত হয়েছেন।
ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, মোট ৯২ জনকে এখন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই সামান্য আহত।
এর আগে আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর হাইফা বন্দরের আশেপাশের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন দেখা গেছে।
দ্য জেরুজালেম পোস্ট, চ্যানেল ১২ এবং ওয়াইনেট নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের সর্বশেষ হামলায় মধ্য ইসরায়েলে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের সামুদ্রিক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামব্রে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হাইফা বন্দরের আশপাশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লেগেছে। তারা আরও বলেছে যে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে তারা দেখেছেন দুটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হেনেছে সেখানে।
রোববার রাতে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। অপরদিকে, পশ্চিম ও মধ্য ইরানে স্থাপিত অনেক সামরিক ঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় ইরানে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। নিহতের মধ্যে ৭০ জন নারী ও শিশু। রোববার ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর গোয়েন্দা প্রধান এবং আরও দুই জেনারেল নিহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল এবং ইরান একটি শান্তিচুক্তিতে পৌঁছাতে পারবে ও যুদ্ধ থামাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইসরায়েল ইরানের ওপর আক্রমণ বন্ধ করলে ইরানের প্রতিশোধ বন্ধ হবে।
এরইমধ্যে বিশ্বের অনেক নেতাই এ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান উত্তেজনা কমাতে ও শান্তিতে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।
এসএএইচ