দুই দফায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে আজ সকালে অনেকেই ইসরায়েলে বিধ্বস্ত অবস্থায় রয়েছেন। এসব হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আগেই সতর্ক করেছিলেন যে, দেশটি কঠিন কয়েকটি দিন পেরোতে যাচ্ছে, কারণ তারা ইরানের ওপর এক নজিরবিহীন হামলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী অভিযান হবে—কয়েক দিন নয়, বরং সপ্তাহব্যাপী চলতে পারে—তবে এর শেষ লক্ষ্য এখনো স্পষ্ট নয়।
গত রাতে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এখন ইরানে যে হামলা চালানো হয়েছে, তার চেয়ে বড় পরিসরে ভবিষ্যতে হামলা চালাবে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এই হামলা বৈধ, কারণ ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির ‘না ফেরার পথে’ পৌঁছাচ্ছে।
তবে অনেকে এই যুক্তি প্রশ্ন করছেন, এবং ইরান বারবার বলেছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ, যা ইসরায়েল সবসময় অস্বীকার করেছে। নেতানিয়াহুর সমালোচকরা বলছেন, এটি ইচ্ছাকৃত যুদ্ধ এবং কূটনীতি ছাড়া ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে চুক্তিতে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন, যদিও স্পষ্ট নয় কী ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। অথচ ট্রাম্পই প্রথমবারের মতো ২০১৫ সালের জেসিপিওএ চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে গিয়েছিলেন। যদিও সেই চুক্তি পুরোপুরি নিখুঁত ছিল না, তবে সময়ের সঙ্গে ইরান তা মেনে চলছিল।
আজ রোববার আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে পরমাণু আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা বাতিল করা হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা চলাকালীন সময়ে কোনও আলোচনা করা সম্ভব নয়।
রাতভর দুই দফায় ইরান থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়, আর সকালে আবারও নতুন করে হামলার খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইরানে পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি, তেহরানের তেল ডিপো ও ইসরায়েলের হাইফা তেল শোধনাগারও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
এই সংঘাত শুরু হয় শুক্রবার, যখন ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই পাল্টা হামলায় নামে ইরান।
আরএইচ