তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ঘোষণা করেছেন, দেশটি তাদের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’ ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি করতে একটি বড় চুক্তি করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া হবে তুরস্কের তৈরি এই যুদ্ধবিমানের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রেতা।
এই চুক্তি অনুযায়ী ইন্দোনেশিয়ায় আগামী ১০ বছরের মধ্যে ৪৮টি কান ফাইটার জেট উৎপাদন ও সরবরাহ করবে তুরস্ক। এই উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় কারিগরি সক্ষমতা ব্যবহার করা হবে যৌথভাবে। চুক্তিতে প্রযুক্তি হস্তান্তরের ব্যবস্থাও থাকছে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান টার্কিশ অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের (টিএআই) তৈরি এই জেট ২০২৩ সালে প্রথমবার প্রকাশ্যে আনা হয় এবং ২০২৪ সালে সফলভাবে প্রথম টেস্ট ফ্লাইট সম্পন্ন করে। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৮ সালে।
চুক্তিটি ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত ‘ইন্দো ডিফেন্স ২০২৫’ এক্সপোর সময় সই করা হয়। এটি শুধু দু’দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার গভীরতা বাড়াচ্ছে না, বরং তুরস্ককে একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষা অংশীদার হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করছে।
তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়া এর আগে বাইকার কমব্যাট ড্রোন তৈরির যৌথ প্রকল্পেও অংশ নিয়েছে।
টিএআই এবং তুরস্কের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এই চুক্তিকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব, প্রযুক্তি আদান-প্রদান এবং যৌথ উৎপাদনের একটি বাস্তব উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
২০১৬ সালে শুরু হওয়া কান প্রকল্পটি মূলত তুরস্কের পুরনো এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছে। শুরুর দিকে জেটটিতে জেনারেল ইলেক্ট্রিক এফ-১১০ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হলেও, ভবিষ্যতে এর জন্য তুরস্ক নিজস্ব ইঞ্জিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
২০২৪ সালে তুরস্কের প্রতিরক্ষা রপ্তানি ৭.১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে এক নতুন রেকর্ড গড়েছে। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, তার সরকার প্রতিরক্ষা শিল্পে সমর্থন অব্যাহত রাখবে এবং এটি আরও শক্তিশালী করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ
এমএম