যুক্তরাষ্ট্র এখন আর স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
হাকাবি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যদি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের চিন্তাও করা হয়, তবে তা যেন ইসরায়েলের কোনো ভূখণ্ডে না হয়। বরং ‘একটি মুসলিম দেশের অংশবিশেষ নিয়ে’ রাষ্ট্রটি গঠনের পরামর্শও দেন তিনি।
বিবিসিকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে হাকাবি বলেন, মুসলিম দেশগুলোর ভৌগোলিক পরিসর এত বড় যে, কেউ যদি সত্যিই চায়, তবে ফিলিস্তিনের জন্য কিছু জমি ছেড়ে দিতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হাকাবির এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। ঐতিহাসিকভাবে ওয়াশিংটন দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা বললেও, বাস্তবে সেই অবস্থান এখন অনেকটাই বদলে গেছে।
গবেষক খালেদ এলগিন্ডি বলেন, এই প্রশাসন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ভানটুকুও করছে না। অন্যদিকে, ইউসুফ মুনায়ার মন্তব্য করেছেন, হাকাবি শুধু মুখে ঢাকঢাল না রেখে স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চায় না।
হাকাবির বক্তব্য প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকদের মতে, এই মন্তব্যটি মার্কিন প্রশাসনের মূলনীতির বড় পরিবর্তনের প্রতিফলন।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজা সংকটের মধ্যেই এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, বিশেষ করে ইউরোপ ও আরব দেশগুলোর জন্য নতুন কূটনৈতিক চাপ তৈরি করবে। কারণ, এসব দেশ এখনো দুই রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষেই অবস্থান করছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব অগ্রাহ্য করতে পারছে না।
এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা ‘আদদামির’সহ ছয়টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এরা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সহায়তা করে। তবে আদদামিরের মূল কাজ হলো, দখলকৃত পশ্চিম তীরে বন্দি ফিলিস্তিনিদের আইনি সহায়তা দেওয়া।
এমজে