ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ পর্ব শুরু ২৫ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ পর্ব শুরু ২৫ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: আগামী ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজিত হতে যাচ্ছে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ পর্ব। ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

 

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।  

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ব্লকচেইনকে আমরা বলছি ‘ফাউন্ডেশন টেকনোলজি’। এ প্রযুক্তি পুরো পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। আমাদের কাজ হচ্ছে, এ প্রযুক্তিকে তরুণদের কাছে নিয়ে যাওয়া। আর এ কারণেই আমরা এ অলিম্পিয়াড আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। শিক্ষা, আর্থিক, বিচার, স্বাস্থ্যসহ সব খাতে ব্লকচেইন প্রযুক্তির দরকার আছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সব খাতে প্রযুক্তি নির্ভর নতুন নতুন সেবা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।  

২০২০ সালে প্রথমবার অংশ নিয়েই ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডের আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ভালো করেছেন বলে উল্লেখ করেন পলক।  

তিনি বলেন, প্রথমবার অংশ নিয়েই আমাদের শিক্ষার্থীরা ছয়টি ক্যাটাগরির দুটিতেই পুরস্কার লাভ করেন এবং ১২ দলের প্রতিটি মেরিট সনদপত্র লাভ করে। সেই অর্জনে উৎসাহিত হয়ে ব্লকচেইন এর মূল আসর প্রথমবার হংকং এর বাইরে বাংলাদেশে আয়োজিত হতে যাচ্ছে। এবছর অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ পর্বের পাশাপাশি মূল আসর ও আমরা আয়োজন করবো। ব্লকচেইন ব্যবহার করে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান দারুণ কিছু কাজ করছে। বিশেষ করে সনদপত্র জাল হওয়া রোধ করছে।

অলিম্পিয়াডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সমন্বয়ক হাবীবুল্লাহ নিয়ামুল করিম বলেন, অলিম্পিয়াডের বাংলাদেশ ও মূল আসর দুটোই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। মূল আসরে বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নেবেন। ২০১৭ সাল থেকে হংকং এ নিয়মিতভাবে এটি আয়োজিত হয়ে আসছে। ২০২০ এ আমাদের দেশ থেকে প্রথমবার এর মূল পর্বে অংশ নেওয়া হয়। বাংলাদেশ পর্বে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫২টি প্রকল্প জমা পড়ে। ২০টি প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ পর্বের মূল প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। সেখান থেকে বিজয়ী ১২টি দলকে হংকং পাঠানো হয়। এবার আমরা ৪০টি প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ পর্বের মূল পর্বের আয়োজন করবো।  

তিনি  আরও বলেন, এ আয়োজন সরকার, একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রির এক সফল মেলবন্ধন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা আসবে। আর জুলাই এর ২ থেকে ৪ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে মূল আসর।  

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতীম দেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
এসএইচএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad