ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল লেনদেন চালু হবে: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল লেনদেন চালু হবে: পলক কথা বলছেন পলক।

ঢাকা: আর্থিক লেনদেনে খরচ ও হয়রানি রোধে ইন্টার-অপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দেশের জনগণকে ডিজিটাল সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ‘ইনলাইন’ থেকে ‘অনলাইনে’ নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।



রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।  

সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রবর্তিত ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদনে’ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে জনসেবায় আইসিটি বিভাগ সেরা নির্বাচিত হওয়ায় এপিএ উদ্যাপনে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।  

অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেনসহ বিভাগ ও এর অধীন বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

এ সময় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে সব সরকারি সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল দর্শন। বার্ষিক কর্মসম্পাদনে জনসেবায় আইসিটি বিভাগের এ অর্জন আগামীদিনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে আরও বেশি কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। প্রযুক্তির সুফল জনগণের কল্যাণে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। দেশের প্রযুক্তি খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও তরুণ প্রজন্মকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্ড্রাস্টি প্রমোশন, ই-গভর্নমেন্ট ও তৃণমূল পর্যন্ত কানেক্টিভিটি এ চারটি স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের সঠিক দিক-নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণেই এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে। বিগত ১২ বছরে দেশে তথ্য-প্রযুক্তিখাতের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণে কোভিড-১৯ মহামারিতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদনে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৪.৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।