ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর নতুন উপহার ‘স্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর নতুন উপহার ‘স্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ’

কুড়িগ্রাম: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, মুজিববর্ষে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এলইডিপি) আওতায় ১০০ সার্ভিসের মাধ্যমে ১০ কোটি মানুষ সুবিধা পাবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নতুন উপহার ‘স্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ’, যেখানে তরুণরা চাকরি না খুঁজে, চাকরি দেবে। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় দাসিয়ারছড়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ডিজিটাল সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন পলক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ৬৮ বছর পিছিয়ে থাকা বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের জন্য ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ডিজিটাল সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার মুজিববর্ষে উপহার।

২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এ প্রকল্প শুরু করেন। তার সুযোগ্য সন্তান আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জরের পরামর্শে এ প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আইসিটি সেক্টরে ১০ লাখ তরুণ-তরুণী কর্মসংস্থান হয়েছে। এরমধ্যে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার, প্রায় দুই লাখ সফটওয়্যার টেকনোলজিতে কাজ করছেন। এছাড়া এক লাখেরও বেশি ছেলে-মেয়ে কল সার্ভিস সেন্টারে কাজ করছেন। পাশাপাশি ৫০ হাজারও বেশি ছেলে-মেয়ে ই-কমার্সে কাজ করছেন।

পলক বলেন, মুজিববর্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৪০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরমধ্যে কুড়িগ্রামে ৫০০ জন এলইডিপির প্রজেক্টের আওতায় প্রশিক্ষণ পাবে।  

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেযারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জিলুফা সুলতানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদমর্যাদায়) মেনহাজুল আলম, ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী সরকার, ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মাছুমা আরেফীন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় ও উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হারুণ-অর-রশিদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০
এফইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।