ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

নির্বাচনী প্রচারণায় আ'লীগের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮
নির্বাচনী প্রচারণায় আ'লীগের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ  এসটিএসসি অ্যাপ এর ছবি

ঢাকা: আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী অ্যাপ চালু করেছে আওয়ামী লীগ। অ্যানড্রয়েড ভিত্তিক এই অ্যাপ এর নাম এসটিএসসি।

এ নামটি নেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটি (এসটিএসসি) থেকে।  

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ডিজিটাল নির্বাচন ক্যাম্পেইন শীর্ষক এক কর্মশালায় আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপটির উদ্বোধন করা হয়।

 

আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন কমিটি-২০১৮ এর আওতাধীন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটির সভাপতি মোস্তফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে  অ্যাপটি উদ্বোধন করেন।  

কর্মশালায় অ্যাপটি সম্পর্কে উপস্থাপনা করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর মাহফুজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে এই অ্যাপটির নাম রাখা হয় সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সাব-কমিটি বা সংক্ষেপে এসটিএসসি। এই অ্যাপ এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান, নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক, সাধারণ এলাকাভিত্তিকসহ পুরো বাংলাদেশে একে অপরের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন। কর্মশালায় বক্তব্য রাখছেন সাবেক  ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বারসেন্ট্রালাইজড নেটওয়ার্ক এবং কমন প্লাটফর্মের মাধ্যমে দলের প্রয়োজনে কোনো খবরকে ভাইরাল করা এই অ্যাপের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান প্রফেসর মাহফুজুল। এ অ্যাপের মাধ্যমে দলের অন্তত এক কোটি কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা  আছে বলেও জানান তিনি।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা জব্বার বলেন, ৭০ এর নির্বাচন আর এবারের ২০১৮ সালের নির্বাচন এক নয়। এ নির্বাচনে শুধু বাসায় বাসায় গিয়ে ভোট পাওয়া যাবে না। ১০ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় চার কোটি ভোটার এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। তাই এই মাধ্যমকে ব্যবহার করতে হবে। প্রথাগত নির্বাচনের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রচারণা চলবে।  

এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ছাত্রলীগের ৪০ লাখ সক্রিয় কর্মী-সমর্থক রয়েছে যাদের প্রায় ৩০ লাখ ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। তাই এই চার কোটি মানুষের কাছে পৌঁছানোর ক্ষমতা তোমরা ৪০ লাখ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী রাখো। ইন্টারনেট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিপুল এ সম্ভাবনাকে তোমরা কাজে লাগাও।  

কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী। এ সময় কর্মী-সমর্থকদের ইন্টারনেটে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের সরকারের আমলে দেওয়া। আমাদের সময়ের এই প্রযুক্তি যেন আমাদের জন্যই বুমেরাং হয়ে না যায়। তাই নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুধু নৌকার প্রচারণা চালাবে তোমরা।  

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বলেন, এবারের নির্বাচনে আমাদের ব্যান্ড হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আমরা সবাই এক সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালালে বিরোধীদের প্রচারণা খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে।  

কর্মশালায় ছাত্রলীগের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনের সমন্বয় কমিটির নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আওতাধীন তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এসএইচএস/আরআইএস/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।