ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

সারাদেশে ইন্টারনেটের রেট এক হওয়া উচিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
সারাদেশে ইন্টারনেটের রেট এক হওয়া উচিত ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার/ছবি- কাশেম হারুন

ঢাকা: সারাদেশে ইন্টারনেটের রেট এক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেছেন, নিশ্চিত করতে চাই, সারাদেশে এক রেটে ইন্টারনেট পাবে, এটা হওয়া উচিত। চট্টগ্রামে যে রেটে ইন্টারনেট পাবো, ঢাকা শহরে যে রেটে ইন্টারনেট পাবো, ময়মনসিংহে বসবাস করি সেজন্য বাড়তি টাকা গুনতে হবে? আমি তো কোনো অপরাধ করি নাই বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে! গ্রামাঞ্চলে বসবাস করার জন্য আমার কাছে বাড়তি পয়সা নেবেন, এটি কোনোভাবে অন্তত সমতা সেবা দেওয়ার পর্যায়ে পড়ে না।


 
দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য সমান দামে ইন্টারনেট দেওয়া উচিত। সাশ্রয়ী মূল্যে যেন ইন্টারনেট পেতে পারি- এটাই চ্যালেঞ্জ।  
 
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকালে আগারগাঁওয়ে বিসিসি ভবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এগিয়ে যাওয়ার আরো চার বছর উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মন্ত্রী।
 
ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য যে সড়ক তৈরি করবো, এটা ইট-কাঠ-কংক্রিট দিয়ে তৈরি নয়, এটা ইন্টারনেটের মহাসড়ক। মহাসড়ক তৈরি করা মন্ত্রণালয়ের বিরাট চ্যালেঞ্জ।
 
৬৫ ভাগ নতুন প্রজন্মকে কেবলমাত্র ইন্টারনেট দিতে পারলে তার থেকে এরা বেশি খুশি হবে না। সিঙ্গাপুরে প্রতি বাড়িতে এক জিবিপিএস ব্যান্ডউথই পৌঁছানোর টার্গেট ছিলো। আমরা তার কাছে যেতে না পারলেও এক এমবিপিএস পৌঁছাতে পারবো না, এরকম চিন্তা করলে হবে না।
 
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ফোরজি চালু হওয়ার যুগে উদগ্রিব হয়ে বসে আছি। তবে কেবলমাত্র মোবাইলের ইন্টারনেট দিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যাবে না। ব্রডব্যান্ড পৌঁছাতে চাইলে, তারের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৌঁছাতে হবে।  
 
সাবমেরিন কেবল কোম্পানি চট্টগ্রামে ২০৪ টাকায় ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার এমন এক জায়গায় মূল্য নিয়ে গেছে, যিনি সাবমেরিন কেবল কোম্পানি থেকে কিনবেন তার সঙ্গে খরচ ও মুনাফা যোগ করবেন। ব্যবসা মুনাফা না করার জন্য না, কিন্তু মুনাফা গলাকাটা হবে না। সেটিই হওয়া উচিত। আমি এদেশের তরুণের কাছে এটি বলতে পারি, এটি আমার বড় চ্যালেঞ্জের একটি চ্যালেঞ্জ।
 
লার্নিং ও আর্নিং প্রকল্পের প্রশিক্ষণের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে বসে বাড়ি ভাড়া করে তাকে থাকতে হবে সেজন্য তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। আমরা চেয়েছি বাড়িতে বসে উপার্জন করবে।
 
একইসঙ্গে নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করাও একটি বড় বিষয় বলে জানিয়েছেন মোস্তাফা জব্বার।
 
তিনি বলেন, আমাদের চারপাশে ইন্টারনেটের কুফল প্রতিনিয়ত বিরাজ করে। শিশু-কিশোর-নারীরা-সম্মানিত ব্যক্তিরা ইন্টারনেটে নিরাপদ না। ব্যক্তিগত চরিত্র হনন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এবং ষড়যন্ত্র এবং যুদ্ধ ঘোষণার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করে। সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার হয়ে থাকে। ছেলেমেয়েরা উৎসাহিত হলেও বাবা-মায়েরা আতঙ্কিত হয়।
 
প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে বলেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করবো সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ করতে।
 
চার বছরের উন্নয়ন ও ভবিষ্যত তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নের আওতায় ২০২১ সালের ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।
 
তিনি বলেন, কানেকটিভিটির জন্য ওই সময় সবার জন্য ইন্টারনেট, ই-গভর্ন্যান্সের আওতায় ৯০ ভাগ সেবা ইন্টারনেটে দেওয়া হবে। আইসিটি শিল্পের উন্নয়নে ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয়ে এই খাতের রফতানি ২৬ মিলিয়ন ডলার থেকে গত বছর ৮০০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। ২০১৮ সালে তা ১ বিলিয়ন ডলার হবে। ২০২১ সালে এ রফতানি ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
 
আইসিটি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।