ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫

থাকছে মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স-ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫
থাকছে মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স-ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড, বিআইসিসি থেকে: দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় তথ্যপ্রযুক্তি উৎসব ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’-এ থাকছে এ অঞ্চলের মন্ত্রীদের নিয়ে ‘মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স’। পাশাপাশি সম্মেলনে এবার প্রথমবারের মতো দেওয়া হচ্ছে ‘ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’, যাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ৫৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখায় সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হবে।

  

‘ফিউচার ইজ হেয়ার’ স্লোগানে সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পর্দা উঠেছে এ তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনীর। বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী (৯-১২ ফেব্রুয়ারি) ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশ ছাড়াও ৫টি দেশের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে থাকছে ‘মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স’। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।

অন্যদিকে এবারই প্রথম দেওয়া হচ্ছে ‘ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখায় সরকারি পর্যায়ে ৪৭টি, বেসরকারি পর্যায়ে ৭টি এবং বিশেষ ক্যাটাগরিতে ৪টিসহ মোট ৫৮টি সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হবে।

এর মধ্যে দেশের ৭টি বিভাগ থেকে একজন করে সেরা জেলা প্রশাসক, সেরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার, ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং একটি করে সেরা ডিজিটাল সিটি, ডিজিটাল পৌরসভা, ডিজিটাল হাসপাতাল, ব্যাংক এবং ই-ইনিশিয়েটিভ ও ই-উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইটিতে সেরা ৫টি উদ্ভাবন, একজন প্রযুক্তি নারী এবং অপর একজন প্রযুক্তি বন্ধুকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে ৪টি সেরা প্রতিষ্ঠানকেও মেলার শেষ দিন এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) যৌথভাবে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজন করেছে।

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।

বিশ্বের ২৫টি দেশ থেকে আসা ৮৫ জন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, ১২০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ১০০টি সরকারি সংস্থা সংস্থার অংশগ্রহণে বসেছে বিশ্ব প্রযুক্তির এ মিলনমেলা। এতোসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাংলাদেশে বসে দেখার এটিই একমাত্র প্ল্যাটফর্ম।
সরকারি আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। মেলায় থাকছে ৪টি প্রদর্শনী, ২৪টি সেমিনার, ৯টি কনফারেন্স এবং ১১টি প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

সম্মেলনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নিচ্ছেন ৮৫ জন বক্তা। মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স ছাড়াও থাকছে প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণে বিশেষ সম্মেলন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ক্যারিয়ার বিষয়ক সম্মেলন এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের নিয়ে ‘টাইটেনিয়াম কনফারেন্স’, ‘ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স জোন’-এর মতো নানা আয়োজন।

সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব হাউলিন ঝাও, টিপসি অ্যান্ড টাম্বলার’র প্রতিষ্ঠাতা বয়েডলি পোলেন্টাইন, ক্লাউডক্যাম্প’র প্রতিষ্ঠাতা ডেভ নিয়েলসেন, টাই সিলিকন ভ্যালি’র প্রেসিডেন্ট ভেঙ্ক শুক্লা।

এছাড়াও বিশ্বসেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল থেকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন গুগল সাউথ এশিয়ার হেড অফ সেলস বেন কিং, গুগলের হেড অব এজেন্সি ডেভেলপমেন্ট বিকি রাসেল, মার্কেটিং স্পেশালিস্ট ক্যাটি স্যান্ডারস, গুগল স্পিচের সফটওয়্যার প্রকৌশলী রবি রাজকুমার, গুগলের পার্টনার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অক্ষয় সন্থালিয়া, গুগল সাউথ এশিয়ার ইন্ডাস্ট্রি অ্যানালিস্ট ফজল আশফাক, গুগল ট্রান্সলেটের সফটওয়্যার প্রকৌশলী আর্নে মৌসার এবং গুগল ডেভেলপার (জিডিজি) বাংলা কান্ট্রি ম্যানেজার জাবেদ সুলতান পিয়াস। অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক থেকে অংশ নিচ্ছেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর এবং হেড অব পাবলিক পলিসি আঁখি দাস, অ্যাকসেঞ্চার বাংলাদেশে চেয়ারম্যান অবিনাশ ভাসিস্তা, অগমেডিক্স’র সিইও ও কো-ফাউন্ডার আইয়ান শাকিল, এনটিএফ থ্রি’র প্রকল্প পরিচালক মার্টিন লাব্বি, বিক্রয় ডটকমের প্রধান মার্টিন মালস্ট্রম প্রমুখ।

তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা উপস্থাপনে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’- এ থাকছে চারটি পৃথক প্রদর্শনী। আয়োজনে প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে বেসিস সফটএক্সপো, ই-গভর্নেন্স এক্সপো, মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো এবং ই-কমার্স এক্সপো।

সফটএক্সপো
গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বেসিস আয়োজন করে আসছে বেসিস সফটএক্সপো। দেশের সফটওয়্যার ও আইটি খাতের সর্ববৃহৎ মেলা হিসেবে ইতোমধ্যেই দেশের অন্যতম প্রধান তথ্যপ্রযুক্তি মেলায় পরিণত হয়েছে এটি। গত বছর থেকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের অন্যতম অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে সফটএক্সপো।

এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-এ সফটওয়্যার ও আইটিইএস খাতের ৭২টি স্টলে দেশে তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার সলিউশন্স প্রদর্শন করবে বেসিস সদস্য কোম্পানি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

সফটএক্সপো থেকে বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক সফটওয়্যার ও তার সুবিধাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন দর্শকরা।  

ই-গভর্নেন্স 
মেলার প্রায় ১০০টি স্টল থেকে নানা ই-সেবা প্রদর্শন করবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতর। মূলত ‘ই-গভর্নেন্স’  শীর্ষক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে জানা যাবে।

ই-কমার্স
অনলাইনে ঘরে বসে কেনাকাটার নানা আয়োজন নিয়ে মেলায় থাকছে ৪টি প্যাভিলিয়ন, ১০টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২২টি স্টল। নিরাপদে অনলাইনে কেনাকাটার নানা অফারের পাশাপাশি নিজেদের সেবার পসরা নিয়ে হাজির হয়েছে দেশি জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।    

মোবাইল ইনোভেশন
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপে বাংলাদেশের জয়যাত্রা তুলে ধরতে ৪২টি স্টলে রয়েছে ‘মোবাইল ইনোভেশন’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এখানে বাংলাদেশি ডেভেলপার কোম্পানির জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। উইন্ডোজ, আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের সহস্রাধিক দেশি অ্যাপ্লিকেশন থাকবে মোবাইল ইনোভেশন জোনে।

মেলায় অনুষ্ঠিত সেমিনার, কর্মশালা এবং কারিগরি সেশন ছাড়াও মেলার বিভিন্ন আয়োজন সরাসরি ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে (www.facebook.com/digitalworldbangladesh) মেলার সব আপডেট পাওয়া যাবে। ইউটিউবে (www.digitalworld.org.bd) পাওয়া যাবে এসব আয়োজনের ভিডিও লিঙ্ক।   
 
সরকার ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের তথ্যপ্রযুক্তির এ মিলনমেলায় সহযোগী হিসেবে রয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ), বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলোজি (বিডব্লিউআইটি), সিটিও ফোরাম, আইএসপিএবি এবং সিলিকন ভ্যালিভিত্তিক উদ্যোক্তা সংগঠন টাই বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।