ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল অগ্রগতির সঙ্গে সাইবার অপরাধ বাড়ছে: পলক

স্পেশাল করেসন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
ডিজিটাল অগ্রগতির সঙ্গে সাইবার অপরাধ বাড়ছে: পলক

ঢাকা: ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা এবং ঝুঁকি ততই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা এবং ঝুঁকি ততই বাড়ছে। ২০০৮ সালের আগে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরু করার আগে আমাদের আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবা বলতে গেলে এমন কোনো কার্যক্রম ছিল না, যার ফলে সাইবার ঝুঁকিটাও কম ছিল। যত দ্রুত আমরা ডিজিটাইজেশন করেছি তত বেশি কিন্তু... এ উপাত্তের সুরক্ষা প্রয়োজনীয় হয়ে দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংসদে পাস করেছিলাম। তার পরে সময়ের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনের তাগিদে এখন নতুন আইন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০২৩ এটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তারই আলোকে আমরা চারটি মূল স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছি। প্রথমত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল রয়েছে। সেইখান থেকে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। দ্বিতীয় আমাদের যে ফরেন্সিক ল্যাব সেখানেও কাজ হচ্ছে। কোনো অপরাধ যদি সংগঠিত হয় তাহলে সেই অপরাধকে চিহ্নিত করা, অপরাধীদের চিহ্নিত করা এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই করার জন্য সেই ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব কাজ করছে।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার রেসপন্স টিম, কাউন্টার টেরোরিজম এবং ইনটেলিজেন্স এজেন্সিসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা ২৩ হাজার জুয়ার সাইট, পর্নোগ্রাফি সাইট, এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রমে যে প্ল্যাটফর্মগুলো যুক্ত ছিল, সেগুলোকে আমরা ব্লক করেছি। প্রতিনিয়ত, প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা আমাদের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। ফলে আমরা অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করতে পারছি। কিন্তু এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা চলমান থাকবে। সে ক্ষেত্রে আমাদের যে ৩৩৩ একটা কল স্টোর আছে, সেখানে আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করব, তারা যেন কল করে তাদের কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন হলে বা কোনো উপদেশের প্রয়োজন হলে বা অভিযোগ জানাতে হলে তারা করতে পারেন। ৯৯৯ আছে এখানে পুলিশকে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
এসকে/এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।