ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ডেটা সম্পদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জরুরি: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
ডেটা সম্পদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জরুরি: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল ডেটা সোনার চেয়েও দামি। মূল্যবান ডেটা সম্পদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জরুরি।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ফলে কাগজের তথ্য এখন ডেটায় রূপান্তরিত হচ্ছে।  

ডাটা সংরক্ষণ ও সুরক্ষার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ভূমিকা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সোমবার (২১ আগস্ট) ঢাকার একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) উদ্যোগে আয়োজিত ক্লাউড কম্পিউটিংবিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এক সময় ক্লাউড বলতে কোনো ধারণা ছিল না। এখন সবকিছু ডিজিটাল হয়ে গেছে, এখন ক্লাউডের কোনো বিকল্প নেই। সাংবাদিকদের এসব বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরি।

সাংবাদিকদের জন্য এ রকম একটি কর্মশালা অত্যন্ত জরুরি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য আমাদের প্রত্যেককেই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তরুণ সাংবাদিকরা ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের আয়োজিত এই কর্মশালা নিজেদের স্মার্ট হওয়ার সুযোগ তৈরিতে কার্যকর অবদান রাখবে।  

মন্ত্রী বলেন, জ্ঞান হলো পৃথিবীর বড় সম্পদ। স্মার্ট বাংলাদেশ হলো জ্ঞান-ভিত্তিক সাম্য সমাজ, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জ্ঞান-ভিত্তিক সাম্য সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগাতে হবে।  

সচেতনতার অভাব ও অতি লোভে অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালের আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসমূহ নিয়্ন্ত্রণ করা যায়নি। তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নিয়ন্ত্রণহীনতার অন্যতম কারণ ছিল। বর্তমানে সে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি ঘটাতে আমরা সক্ষম হয়েছি।  

১৯৮৭ সাল থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হওয়ার পরও কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে প্রকাশনা ও মুদ্রণ শিল্পে শীশার হরফের পরিবর্তে কম্পিউটারে বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশ করেছি।  

তিনি বলেন, ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে এক বছরের পাঠক্রম শিক্ষার্থীরা অনায়াসে তিন মাসে শেষ করতে পারছে।  

ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডেটা আমাদের ব্যবহার করতেই হবে। এটি আমাদের সম্পদ, সুতরাং এটি যেখানে রাখতে হবে সেই জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ।  

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সেক্রেটারি মাসুদুজ্জামান রবিন এবং ওপেনস্ট্যাক বাংলাদেশের কান্ট্রি অর্গানাইজার মোবারক হোসাইন।  

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশেও নিজেদের ক্লাউড তৈরি করে ব্যবহার করা সম্ভব। এ কাজে দেশীয় প্রতিষ্ঠান এ ক্লাউড প্লানেট তাদের চারটি ডেটা সেন্টার স্থাপন করেছে ঢাকা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে। সেখানেও ব্যবহার করা হয়েছে ওপেনস্টেক ক্লাউড।  

গত পাঁচ বছরে তারা প্রায় ১০ লাখ মানুষকে সেবা দিয়েছে । কর্মশালায় বক্তারা তুলে ধরেন, কীভাবে এই দেশীয় ক্লাউড ব্যবহার করে ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। কারণ দেশীয় ক্লাউড ব্যবহারে বিদেশি সফটওয়্যার বা সেসবের নিরাপত্তার জন্য বাড়তি কোনো সেবার প্রয়োজন নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
এমআইএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।