ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্য নিরাপত্তায় ৭ দফা দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
তথ্য নিরাপত্তায় ৭ দফা দাবি

ঢাকা: তথ্য নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিসহ ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।

শনিবার (২২ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।

মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মোবাইল ব্যবসায়ী রিচার্জ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু, গণসংহতি আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মজুমদার, ফুল পাখি নদী সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ৯ জুলাই দেশের সবকটি গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম ছিল লাখ লাখ বা ৫ কোটি নাগরিকের তথ্য ফাঁস। এ সকল প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি সেবাদানকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের নাম ঠিকানা, ই-মেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর পিতা-মাতার নাম ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে। এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে নাগরিকদের মনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমাদের দেশে ইতোমধ্যে প্রযুক্তির অপব্যবহার এবং তথ্য হাতিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে নাজেহালের ঘটনা অহরহ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা গ্রহণকারী সাধারণ গ্রাহকরা সবচাইতে বেশি ভোগান্তিতে। অথচ আমাদের সংবিধানের ৪৩ এর (খ) ধারায় প্রত্যেক নাগরিকের চিঠি ও যোগাযোগের অন্যান্য তথ্য গোপন রাখার অধিকার প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকারেও বলা হয়েছে, গ্রাহকের বা নাগরিকের তথ্য গোপন রাখতে হবে। এমনকি তথ্য ফাঁস বা হ্যাকিং হলে তা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিককে সচেতন করার জন্য অবগত করতে হবে। অথচ দুঃখের বিষয় সরকারের দায়িত্ব থাকা একটি প্রতিষ্ঠানের গত ২৭ জুন ভিক্টর মার্কপুলাস নামের একজন মার্কিন সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক সাইবার নিরাপত্তার নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সার্টকে অবগত করে। সার্টের উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নাগরিককে বিষয়টি অবগত করা। কিন্তু তারা বিষয়টি জনগণের কাছে গোপন রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী কারিগরি ত্রুটির কারণে তথ্য দেখা যাচ্ছে বলে স্বীকার করেন। অথচ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়নি। পরবর্তীতে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও এই ঘটনা এখন পর্যন্ত দায়িত্ব অবহেলা কিংবা জড়িত থাকা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। আমরা চাই নিরাপত্তার পাশাপাশি দায়িত্ব অবহেলার কারণে জড়িত থাকা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

দাবিগুলো হলো- সার্টকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা; প্রকল্পে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ করে জনবান্ধব নীতি অনুসরণ; সাইবার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ; সাইবার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল; সংবিধান অনুসারে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা; তথ্য সুরক্ষায় নাগরিক সচেতনতায় সরকারকে এগিয়ে আসা; সাইবার সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বাইরে ব্যবসা পরিচালনা বা অন্য দায়িত্বে নিয়োজিত হতে পারবে না তা নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।