ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা: ‘পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে কতজনকে বে-আইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে’ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) হাইকোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে এসএসসি।

এ সময় বিচারপতি আরও জানতে চান নিয়োগপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত তালিকায় কতজন ছিলেন? 

সূত্রে জানা যায়, নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল এসএসসি। নিয়োগ বোর্ডের পাঁচ সদস্যের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই চাকরি পেয়েছেন শিক্ষকরা। কিন্তু পাঁচ সদস্যের কমিটির অভিযোগ ছিল, প্যানেলে অনেক পেছনে নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।

এছাড়া সুপারিশে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদেরও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেই সংখ্যাটি কত? এসএসসির কাছে সেই তালিকাও চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, ‘দুর্নীতির কারণে মেধাবীরা চাকরি পাননি। তাই বে-আইনি নিয়োগের তালিকা নিয়ে কোনও টালবাহানা করা যাবে না। ’ সেই সঙ্গে বিচারপতির হুঁশিয়ারি, ‘যারা বে-আইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি বাতিল করা হবে। ’

তবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগপ্রাপ্তদের এ তালিকা এখনও সম্পূর্ণ পাননি আদালত। সম্পূর্ণ নথি আদালতে জমা পড়লেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বিচারপতি।  
এছাড়া শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় ফের হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। এদিন একই সঙ্গে এসএসসির গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগপ্রার্থীদের মামলার শুনানি জন্য ধার্য ছিল।  

মামলায় সিবিআইয়ের নতুন স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ। আট সদস্যের কমিটিতে আরও চারজনকে নতুন যুক্ত করা হয়েছে। আর পুরোনো কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় দুজনকে। কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডিআইজি অখিলেশ সিং।

চলতি বছরের গত ১৮ মে এসএসসির গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগ মামলায় ৫৪২ জন নিয়োগপ্রাপ্ত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে (সিবিআই) নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্ত দ্রুত করতে গত ১৭ জুন আদালত সিবিআইয়ের ছয়জন সদস্যকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ছয় মাসের মধ্যে অযোগ্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। তবে পাঁচ মাস কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছে সিট।

এদিন বিচারপতি বলেন, নিয়োগ পাওয়া ৫৪২ জনের মধ্যে মাত্র ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। অর্থাৎ গত পাঁচ মাসে মাত্র ১০ শতাংশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো কেন? সিটের যুক্তি, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের গভীরে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। কার কাছ থেকে কারা ঠিক কত টাকা নিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তাই বিলম্ব হচ্ছে।

এরপরই তদন্ত দ্রুত করার জন্য নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ। আগের দুই সদস্যকে সরিয়ে নতুন চার সিবিআই সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে হবে বলে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২২
ভিএস/আরআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।