ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারত

ঘুমিয়েই ৫ লাখ রুপি জিতলেন তরুণী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২
ঘুমিয়েই ৫ লাখ রুপি জিতলেন তরুণী

কলকাতা: ঘুমই তার প্যাশন। ঘুমোতে তিনি প্রচণ্ড ভালবাসেন।

এই কারণে ছোটবেলায় বকুনিও জুটেছে অনেক। এখনও বাড়িতে এ নিয়ে বেশ অশান্তি হয়।  

স্কুল জীবনে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ঘুমিয়েছেন, এমনকি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ঘুমিয়েছে। এবার সেই ঘুমিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেললেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ত্রিপর্ণা চক্রবর্তী। ঘুমিয়েই জিতে নিলেন ৫ লাখ রুপি।

সম্প্রতি ভারতের একটি দামী ম্যাট্রেস তৈরির কোম্পনি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। সেখানে প্রতিযোগিতাই ছিল ঘুমানোর। সেই প্রতিযোগিতায় টানা ১০০ দিন রোজ ৯ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে ‘সেরা ঘুম কাতুরে’র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ত্রিপর্ণা। যা নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে তুমুল চর্চায় ত্রিপর্ণা।

ত্রিপর্ণা এই ঘুমের প্রতিযোগিতার কথা জানতে পারেন সামাজিকমাধ্যমে। ভারতের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ ঘুম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তবে বাকিদের পিছনে ফেলে ‘সেরা ঘুমকাতুরে’ নির্বাচিত হয়েছেন ত্রিপর্ণা।

ত্রিপর্ণা জানান, ছোট থেকে ঘুমোতে বড় ভালোবাসেন। এখন তিনি এক বহুজাতিক সংস্থার কর্মী। সংস্থার মূল অফিস আমেরিকায়। তাই বাড়ি থেকে রাত জেগে কাজ করতে হয়। ঘুমাতেন দিনের বেলা। তবে শৈশব থেকে ঘুম নিয়ে তার নানা ঘটনা রয়েছে। কখনও বোর্ডের পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঘুমিয়ে পড়েছেন। কখনও আবার ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে সেখানেই ঘুমিয়েছেন। আসলে ঘুম পেলেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। তাই তার কাছে এমন একটা প্রতিযোগিতা বড় সুযোগ।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ১০০ দিনের চ্যালেঞ্জে প্রত্যেক প্রতিযোগিদের ৯ ঘণ্টা করে ঘুমাতে হয়েছিল। প্রত্যেক প্রতিযোগির ঘুমের স্কোরে দেখা যায় সব থেকে বেশি স্কোর করেছেন ত্রিপর্ণা। তার ঘুমের স্কোর ছিল ১০০ দিনের মধ্যে ৯৫ শতাংশ। ফাইনাল সময় ঘুমের পর্যবেক্ষণ করার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয় ত্রিপর্ণার বাড়িতে। সেখানেই বাকিদের পেছনে ফেলে সেরা ঘুম কাতুরের মুকুট ছিনিয়ে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের ত্রিপর্ণা।

বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, সেপ্টম্বর ০৫, ২০২২
ভিএস/এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।