ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

কলকাতার উপদূতাবাসে মুজিবনগর দিবস পালিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
কলকাতার উপদূতাবাসে মুজিবনগর দিবস পালিত

কলকাতা: আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য একটা দিন।

১৯৭১ সালের এই দিনে মেহেরপুরের বৈদনাথ তলার আম্রকাননে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অস্থায়ী সরকার শপথ নেয়। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই নাম অনুসারে বৈদনাথ তলার নতুন নামকরণ হয় মুজিবনগর এবং অস্থায়ী সরকারের নাম হয় মুজিবনগর সরকার।

বাঙালির সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরস্মরণীয়। পাশাপাশি উজ্জ্বল চার জাতীয় নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানের অবদান। একইভাবে স্মরণীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান এবং ভারতের সহযোগিতা বাঙালির কাছে চিরস্মরণীয়।

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ দূতাবাসে রোববার (১৭ এপ্রিল) পালিত হয়েছে মুজিবনগর দিবস। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপ হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এরপর উপ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ব্রোঞ্জের তৈরি বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন মিশন প্রধানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

উপ হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ছিল আন্দালিব ইলিয়াসের প্রথম অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, আজকের দিনে বাংলাদেশ সরকার তাদের কাজ শুরু করেছিল। সরকারি কর্মচারী হিসেবে জনগণের প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা, আমাদের যে বিধিমালা, আমাদের যে আচার-আচরণ পরিচালিত হয়েছিল, তা সেদিনের মুজিব সরকারের থেকে। সেদিন আমাদের বলে দেওয়া হয়েছিল আমাদের কাজ করতে হবে জনগণের জন্য, কাজ করতে হবে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, দেশের সমৃদ্ধির জন্য। এসব এসেছিল সেদিনের সরকারের থেকে, সেই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ করে চলেছি।

এরপর মিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যখাক্রমে ক্রীড়া ও শিক্ষা বিভাগের প্রথম সচিব রিয়াজুল ইসলাম এবং ভিসা শাখার প্রধান বসিরউদ্দিন। এরপর মুজিবনগর দিবস শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

এরপর আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন—বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত, দূতালয় প্রধান শিকদার আসরাফুল রহমত, রিয়াজুল ইসলাম ও আন্দালিব ইলিয়াস।

কলকাতার বাংলাদেশ মিশনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। তৎকালীন মিশন প্রধান হোসেন আলীর সহযোগিতায় পাকিস্তান দূতাবাস পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ দূতাবাসে। মুজিবনগর সরকারের শপথের পরদিন ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল বিদেশের মাটিতে এই মিশনে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা তোলা হয়েছিল। পাশাপাশি ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এই মিশনে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad