ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ভারত

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মেতেছে আগরতলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২২
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মেতেছে আগরতলা

আগরতলা (ত্রিপুরা, ভারত): করোনার প্রকোপকে পেছনে ফেলে এবছর ধুমধামের সঙ্গে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে শামিল আগরতলাবাসী।
ভারতীয় ক্যালেন্ডার অনুসারে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) ১৪২৯ সালের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ।

এ উপরক্ষে ভারত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালি মানুষের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যবাসীও বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সামিল হয়েছেন।

দিনটি উপলক্ষে আগরতলার বিভিন্ন মন্দিরে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায় রাজধানীর লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ি মন্দিরে। এদিন সকাল থেকেই নানা বয়সী নারী-পুরুষ স্নান সেরে নতুন জামা কাপড় পড়ে পূজা দিতে আসেন মন্দিরে। এখানে প্রচুর লোক সমাগম হওয়ায় নারী-পুরুষরা লাইন ধরে পূজা দিচ্ছেন। পাশাপাশি নববর্ষের দিন ব্যবসায়ীরা নতুন খাতায় ব্যবসার হিসাব লেখা শুরু করেন। তাই এদিন প্রথমে ব্যবসার হিসাবের নতুন খাতা মন্দিরে পূজা করে নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে যান। এই রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
এ উপলক্ষে এদিন সকাল থেকে পুরোহিতরা লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ি মন্দিরের বাইরে লাইন ধরে বসেন। ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ পছন্দের পুরোহিতকে দিয়ে তাদের হিসাবের খাতা পূজো করিয়ে নেন।

এবছর সকাল থেকেই লক্ষীনারায়ন বাড়ি মন্দিরে মানুষের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পুরোহিতরা জানান গত দুই বছর করোনার জন্য কমিটির মন্দির চত্বরে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। এবছর করোনা মহামারীর প্রকোপ কমে যাওয়ার কারণে মন্দিরে লোক সমাগম হয়েছে।

মন্দিরে আসা ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ জানান, প্রতিবছর নববর্ষের দিন তারা পূজা দিয়ে প্রার্থনা করেন যাতে সারা বছর ভালোভাবে কাটে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, চৈত্র মাসে পুরাতন বছরের হিসাব নিকাশ শেষ করে নতুন বছরের হিসাবপত্র নতুন শুরু করেন তারা। নতুন খাতাতে ব্যবসার হিসাব লেখার আগে পূজা দেওয়া হয়ে থাকে, এটাই রীতি। পাশাপাশি নতুন বছর উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দে কাটানো হয়। নববর্ষ উপলক্ষে লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ি মন্দিরের বাইরে ছোট একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। একইভাবে রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও মেলার আয়োজন করা হয়।

সাধারণ মানুষ নিজেদের সাধ্যমত নববর্ষ উদযাপন করেন, বিশেষত এই দিন ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়ে থাকে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই। তাই সকাল থেকে মিষ্টি এবং মাছ-মাংসের বাজারে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের প্রতিটি জেলার বাজারের ছবি ছিল একই রকম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ১৫ এপ্রিল, ২০২২।
এসসিএন/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।